পড়ুয়াদের মনোবল বাড়াতে তাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন স্থানীয় শিক্ষক শিক্ষিকারা

নিজস্ব প্রতিবেদক:- গত ২১ মার্চ বীরভূম তথা বাংলার ইতিহাসে এক ভয়ঙ্কর দিন। ওই দিন হিংসা ও প্রতিহিংসায় খুন হন বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখ এবং বগটুই গ্রামের নয় জন বাসিন্দা। ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি। চলছে সিবিআই তদন্ত৷ অন্যদিকে এই আতঙ্কের মাঝেই শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। বগটুই গ্রাম থেকে এ বছর ২২ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন৷ এছাড়া ৬১ জন একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থী রয়েছেন। আগামী বছর বেশ কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবেন। কিন্তু বগটুই ঘটনার পর ওই ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াতে মন বসাতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের মনোবল বাড়াতে তাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন স্থানীয় শিক্ষক শিক্ষিকারা৷ তাদের উদ্যোগে বগটুই গ্রামেই শুরু হলো একটি অবৈতনিক কোচিং সেন্টার।সহযোগিতায় রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ও স্থানীয় নেতৃত্ব ৷ কোচিং সেন্টার শুরু হওয়ার প্রথম দিনেই ক্লাসে যোগ দিয়েছে ২০ জল পড়ুয়া৷উদ্বোধনের দিন হাজির ছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিখিল কুমার সিনহা, রামপুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মল্লিকা হালদার সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা।বগটুই গ্রামে এই ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা৷ এমনিতেই হত্যাকাণ্ডের পর অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে এই গ্রামের পরীক্ষার্থীদের সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল রামপুরহাটে। তবে গ্রামের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ায় তারা পুনরায় গ্রামে ফিরে এসেছে। কিন্তু ঘটনার পর নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে তাদের পড়াশুনার অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে৷ সেই ক্ষতি পূরণ করার জন্য এই কোচিং সেন্টারের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্ব৷ এদিকে বগটুই কাণ্ডের সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি শাসক দলের উপপ্রধান ভাদু শেখের হত্যার তদন্তও করবে সিবিআই ৷ এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ দু’টি ঘটনারই তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে৷