ম্যাড হানির চাহিদা আগের মতো আছে বাজারে,কিন্তু সংগ্রহ করার ময়াল নেই

 

    নিজস্ব প্রতিবেদন: হিমালয়ান মৌমাছি গুলি মারাত্মক বিষধর, আকারে বড় সাধারণ মৌমাছিগুলোর থেকে। এদের বাসস্থান গ্রানাইট পাহাড়ের উপরে, এদের মধুর চাহিদা বাজারে তুঙ্গে। তবে মধু আহরণ মোটেও সহজ ব্যাপার নয়, সুউচ্চ পাহাড়ের উপর থেকে মধু সংগ্রহ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে করতে হয়। কুলুং নামে এক জনগোষ্ঠীর রয়েছে যারা দীর্ঘদিন ধরে এই মরণ খেলায় অংশগ্রহণ করে মধু সংগ্রহ করে আসছে।

    হিমালয়ান মৌমাছিগুলি সারা বছর মধু উৎপাদন করে, মৌসুম অনুযায়ী তারা মধু উৎপাদন করে। তবে সবচেয়ে ভালো সময় মার্চ এবং এপ্রিল মাস, এই মাসে তারা যে মধু উৎপাদন করে তাকে ম্যাড হানি বলে। বাজারে এই ম্যাড হানির চাহিদা অনেকটাই বেশি, কাশির ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয় ম্যাড হানি। তবে চোরা বাজারে নেশার সামগ্রী হিসাবে প্রচুর চাহিদা আছে এর, সাধারণ মধু থেকে এর দাম প্রায় ছয় গুণ বেশি।

    তবে বর্তমানে এই মধু সংগ্রহ করা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে এই মধুর চাহিদা বাজারে আগের মতো আছে, কিন্তু এই মধু সংগ্রহ করার জন্য ময়াল আর পাওয়া যাচ্ছে না।কারণ উক্ত জনজাতির শেষ ময়াল কয়েক বছর আগে মধু সংগ্রহ কাজের পরি সমাপ্তি ঘটিয়েছেন। এখন আর মধু সংগ্রহ করার জন্য ময়াল নেই, এই ভাবেই হয়তো হারিয়ে যায় অনেক জীবিকা।