মাধ্যমিকে রাজ্যে নবম পায়েল দাসের বাড়ি গিয়ে সংবর্ধনা জানালেন বিধায়ক

লু তুব আলি : মাধ্যমিকে রাজ্যে নবম পায়েল দাসের বাড়ি গিয়ে সংবর্ধনা জানালেন বিধায়ক। বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের রায়পুর কাশিয়ারা মহিপাল সরোজিনী দেবী স্মৃতি বালিকা বিদ্যানিকেতন এর পায়েল দাস মাধ্যমিকে ৬৮৫ পেয়ে রাজ্যে নবম স্থান অধিকার করেছে। তপশিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা থেকে এবারে মাধ্যমিকে ভালো ফল করে পায়েল দাস স্কুল তো বটেই এলাকার ও মুখ উজ্জ্বল করল বলে অনেকের অভিমত। বৈকন্ঠপুর অঞ্চলের গাংপুরে পায়েলের বাবা সদীপ দাস এর ছোট একটা দোকান আছে। মা মহামায়া দাস গৃহবধূ। তাদের তিনটি মেয়ের মধ্যে পায়েল দাস সবার ছোট। সে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত নাদরা স্বামী দেবানন্দ বিদ্যামন্দির পড়াশোনা করেছে। অষ্টম শ্রেণীতে সে এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। এখানে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই দিদিমণিদের সে নজর কাড়ে। অন্যান্য ছাত্রীদের থেকে সেজে সম্পূর্ণ আলাদা তা বুঝতে পারেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী পাল। ২০২২এর মাধ্যমিকে লাইফ সাইন্স, ফিজিক্যাল সাইন্স, অংক, জিওগ্রাফি এই চারটে বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ করে পেয়েছে। ইংরেজিতে ৯৩ বাংলায় ৯৮ ইতিহাসে ৯৪ পেয়ে পায়েল এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিশিথ কুমার মালিক ও ড. আব্দুল কালাম ট্রাস্ট ফর এডুকেশন এন্ড চ্যারিটির প্রতিনিধিরা পায়েল দাস এর বৈকুন্ঠপুর এর বাড়ি গিয়ে পুষ্পস্তবক ও সড়ক দিয়ে সম্বর্ধিত করেন। উপস্থিত ছিলেন বৈকন্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়দেব ব্যানার্জি, বর্ধমান ২নং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সৌভিক পাল, বিশিষ্ট সমাজসেবী মোহাম্মদ হাবিব, শেখ রতন, অর্ণব দত্ত, আলমগীর হোসেন মন্ডল, শেখ মাফুজ, শেখ নাজির প্রমুখ। এক সাক্ষাৎকারে পায়েল দাস বলেন একাদশ শ্রেণিতে সে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস স্কুলে ভর্তি হতে চাই। এবং পিওর সাইন্স নিয়ে পড়ে ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়া তার ইচ্ছা। এলাকার কাজের মানুষ বিধায়ক নিশিথ কুমার মালিক তাদের সব রকমের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী পাল বলেন, পিছিয়ে পড়ার এলাকায় এই স্কুল বলে এলাকার বিত্তবান ঘরের মেয়েরা শহরের স্কুলের দিকে চলে যাচ্ছিল। পায়েল দাস এর ফলাফলের কৃতিত্বটা এবারে এলাকায় প্রভাব ফেলবে বলে তাঁর অভিমত।