মহাশ্বেতা চক্রবর্তী ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতের পড়ুয়াদের উদ্ধারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তবে দায়িত্ব নতুন নয়,

নিজস্ব সংবাদদাতা : বন্দে ভারত থেকে অপারেশন গঙ্গা, নিজেকে দেশের কাজে নিয়োজিত করতে পেরে গর্ববোধ করে মহাশ্বেতা সহ তার পরিবার। একেবারে চুপিসারেই দেশের মানুষের জন্য এত বড় কাজ করে ফেললেন অশোকনগরের মেয়ে । মাত্র ২৪ বছর বয়সেই মহাশ্বেতা চক্রবর্তী ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতের পড়ুয়াদের উদ্ধারে ভারত সরকারের ‘অপারেশন গঙ্গা’-র দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তবে দায়িত্ব নতুন নয়, এর আগে একই ভাবে বন্দে ভারত এর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। বাড়ির পাশে ছোট্ট মেয়েটির এই কৃতিত্বের খবর জানতে পেরে আনন্দে চোখে জল প্রতিবেশীদের। ছেলেবেলাটা অশোকনগরে কাটলেও পেশার তাগিদে মহেশ্বেতা সহ তার পরিবার থাকেন নিউটাউনে। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার বিমান চালক। এ৩২১ এয়ারবাস চালান, মহেশ্বেতা ফাস্ট অফিসার। বাবা চিন্ময় চক্রবর্তী পেশায় চাকরিজীবী, মা তনুজা চক্রবর্তী একটি রাজনৈতিক(বিজেপি) দলের রাজ্য স্তরের নেত্রী। ছোটবেলা থেকেই অশোকনগর প্রফুল্ল নগর এলাকার বাসিন্দা এই চক্রবর্তী পরিবার। পাড়ার মেয়ের গর্বে আজকে গর্বিত প্রতিবেশীরাও। জানালেন ছোট থেকেই খুব মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে ছিলেন মহাশ্বেতা। তবে পরবর্তী সময়ে পড়াশোনার জন্য কলকাতায় স্থানান্তরিত হয় তারা।দমদম এবং নিউটাউনে ফ্ল্যাট আছে এই চক্রবর্তী দম্পতিদের। মেয়ের পড়াশোনার সুবিধার্থেই কেনা হয়েছিল ফ্ল্যাট বলেই জানালেন মা তনুজা চক্রবর্তী। দেশের জন্য মেয়ের এই কাজকে রীতিমতো কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি। এই কঠিন পরিস্থিতিতে মেয়ের অংশগ্রহণে চিন্তা হলেও, দেশের কাজে মেয়ে অংশ নিতে পেরে গর্বিত, সর্বপরি দেশের মানুষকে উদ্ধার করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারায় গর্বিত মেয়ে কে নিয়ে। তনুজা দেবী আরও জানিয়েছেন, “প্রথমে যখন মেয়েকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জানতে পারলাম তৎক্ষণাৎ একটু ভয় পেয়েছিলাম। পরবর্তীতে উপলব্ধি করলাম মেয়ে যদি এই গুরুদায়িত্ব পালন করে তবে সেটা দেশের সেবা হবে। তাই সব ভুলে মেয়েকে তার কাজে মনোনিবেশে উৎসাহ যোগালাম” ভারত সরকারের এই উদ্যোগ যেমন প্রশংসনীয়, ঠিক তেমনই উত্তর চব্বিশ পরগনার মহাশ্বেতাকে নিয়েও দেশবাসী গর্বিত। তবে অনেকের অজান্তেই এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছে মহাশ্বেতা।