লিপিকা অন্তরার পর ধর্ণায় প্রেমিকা মাহফুজা বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন প্রেমিক জিন্নাত

মঞ্জুর মোল্লা,নতুন গতি, নদীয়া: অবশেষে জয় হল মাফুজার তাঁর প্রেমের সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হলেন প্রেমিক জিন্নাত আলি সোমবার নিজের প্রেমিককে ফিরে পাওয়ার জন্য ধর্নায় বসেছিলেন প্রেমিকা মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত চলে নিঃশব্দ বিদ্রোহ। নিজের দাবিতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অনড় ছিলেন মাফুজা। শেষ পর্যন্ত তার কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হন প্রেমিক জিন্নাত। আজ বিকেলে দুজনের চার হাত এক হল। মুসলিম আইন মেনে দু’জনের রেজিস্ট্রি করে।
নদিয়ার কালীগঞ্জ থানার রাধাকান্তপুরে মাফুজার এই ঘটনা নিয়ে গতকাল থেকে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রেমিক জিন্নাতকে যতই ভালবাসুন না কেন, প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিমান উগরে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, গত তিন বছর ধরে তাঁর সঙ্গে জিন্নাত আলির সম্পর্ক। প্রেমে যখন পড়েছেন, তখন মাফুজার কাছে কিছুই বাধা ছিল না। তাই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও হয়। এমনকী জিন্নাত যখন প্রেমের খাতিরে মাফুজার থেকে অর্থ সাহায্য চান, না করেননি মাফুজা। প্রেমিককে সাহায্য করার জন্য বেশ কিছু টাকা পয়সাও দিয়েছেন।অথচ বেশ কিছুদিন ধরে জিন্নাত তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখতে রাজি হচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন মাফুজা। এও বলেন, জিন্নাত তাঁর সঙ্গে মোবাইলে কথাবার্তা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তিনি তাঁর প্রেমিককে ছাড়া বাঁচতে পারবেন না। তাঁকেই বিয়ে করবেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর তিনি প্রেমিকের সঙ্গে মেলামেশা করেছিলেন। অথচ এখন  তাঁর প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। সেই কারণেই তিনি প্রেমিকের বাড়ি ছুঁটে এসেছেন
তবে মাফুজার ভালবাসার দাম দাও” ধরনের কিছু লেখাও ছিল না তাঁর কাছে। স্রেফ জিন্নাতের সঙ্গে কাটানো কিছু ভাল মুহূর্ত সঙ্গে করে ধরনায় বসেছিলেন তিনি। যার ফল মিলল প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর। মাফুজা ধর্নায় বসার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন প্রেমিক জিন্নাত।শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল বুঝতে পারেন। বাড়িতে ফিরে আসে প্রেমিকার কাছে। জিন্নাতকে ফিরে পেয়ে হাসি ফুটেছে মাফুজার মুখেও।আন্দোলন’ সার্থক হয়েছে তাঁর। বিশেষ করে এখন তাঁরা বিবাহিত। স্বামীকে পাশে পেয়ে খুশি প্রেমিকা মাহফুজা ও তার পরিবারের সকলেই।