|
---|
মালদা, ১২ জুন : এনআরএস-এ চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হল মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। বুধবার বন্ধ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আউটডোর। সারাদিন কর্মবিরতিতে সামিল হলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। পাশাপাশি এদিন মালদার নার্সিংহোম গুলিতে চিকিৎসকেরা নিজেদের চেম্বারে রোগী দেখা থেকে বিরত থাকলেন । যার ফলে দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগী ও তাদের আত্মীয়দের চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়।
এদিন মালদা মেডিকেল কলেজের আউটডোরে পেটের ব্যথা নিয়ে কালিয়াচক ২ ব্লকের বাঙীটোলা এলাকা থেকে এসেছিলেন বৃদ্ধা রহিমা বেওয়া । তার সঙ্গে ছিলেন তার অষ্টাদশী মেয়েকে নাজনিন খাতুন। অসহ্য যন্ত্রণায় মেডিকেল কলেজের আউটডোরের সামনে ছটফট করতে থাকেন ওই বৃদ্ধা। মায়ের যন্ত্রনা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়ে নাজনিন । একটি বারের জন্য মিলেনি চিকিৎসা পরিষেবা । দীর্ঘক্ষন ছটফট করতে থাকেন ওই বৃদ্ধা । পরে অবশ্য স্থানীয় কিছু মানুষ ওষুধের দোকানে নিয়ে যন্ত্রণা কমানোর মেডিসিন কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
একই রকমভাবে হরিশ্চন্দ্রপুরের তালবাংরুয়া এলাকা থেকে জ্বরে আক্রান্ত সাত বছর বয়সী ছেলে আজমির শেখকে নিয়ে এসেছিলেন তার বাবা রহিম শেখ ও মা সাবিনা বিবি। কিন্তু আউটডোর বন্ধ । মিলে নি চিকিৎসা। জ্বরে আক্রান্ত শিশুটি ঠান্ডায় কেপে চলেছে। কি করবে ভেবে করতে পারেন নি ওই শিশুর অভিভাবকেরা। এরকমভাবে একদিন বহু রোগী ও তাদের আত্মীয় দের মালদা মেডিকেল কলেজের আউটডোরে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়। পাশাপাশি মেডিকেল কলেজে রোগীরদের ভর্তির পর জরুরী বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা কোনরকমে মিলেছে। যারফলে রোগী এবং তাদের আত্মীয়দের চরম হয়রানির শিকার হতে হয়।
অন্যদিকে মেডিকেল কলেজের সামনে এনআরএসে চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মবিরতি এবং অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যান জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ ও প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে হবে । মেডিক্যাল কলেজ নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। এইরকমই একাধিক দাবি নিয়ে সারাদিন মালদা মেডিক্যাল কলেজে চলে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি।