|
---|
সামিম আহমেদ, নতুন গতি, দীঘা: দিঘার প্রশাষনিক বেঠক ও উদ্ধোধন করতে এসে একটি চায়ের দোকানের চা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর চা সবাইকে খাওয়ালেন। দিঘার দত্তপুর বাজারের চায়ের দোকানে চা বানায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ফিশারি, পান, কাজু, হর্টিকালচার চাষের কি অবস্থা? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন জেলাশাসককে। মমতা বলেন, এখানে কাজু, ফুল চাষের কি অবস্থা? জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, কোলাঘাটের দেউলিয়াতে রাস্তার উপরে ফুলের বাজার বসে। আমরা অবিলম্বে একটি স্থায়ী জায়গা দেখেছি।
সেখানেই ফুলের বাজার বসবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কাজু, মাছ, পান রপ্তানির কোন ব্যবস্থা রয়েছে? জবাবে রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে বলেন, “কাজু রপ্তানির এখানে বিশাল সুবিধা রয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এই সরকার মানুষের জন্য সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। সরকারের মানুষকে দেওয়ার ও নেওয়ার একটা ব্যাপার থাকে। কোলাঘাট থেকে হলদিয়া ও চণ্ডীপুর থেকে দিঘা শান্তিপূর্ণ থাকলে এলাকায় উন্নয়ন হবে।” তিনি আরও বলেন, “কোনরকম অবৈধভাবে নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না।অনেক কষ্ট করে বাংলাকে দাঁড় করানো হয়েছে। এই জেলাকে মেডিকেল কলেজ, ইউনিভার্সিটি দেওয়া হয়েছে। জেলায় রামনগরে ‘সম্প্রীতি নগর’ করে দেওয়া হয়েছে। ” মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন করেন তপশিলি উপজাতির শংসাপত্র কি অবস্থায় রয়েছে? মানুষকে কোনভাবেই সমস্যায় ফেলা যাবে না। চালাকির দ্বারা কোন মহৎ কাজ করা যায় না। জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে শিবির করে তপশিলি শংসাপত্র বিলি করা নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজন হলে মাইকিং করে প্রচার করতে হবে।জেলাশাসক বলেন, “আগামীদিনে ৪৭ টা শিবির করে প্রচার করা হবে। ” মুখ্যমন্ত্রী জেলার এগরা, খেজুরি, রামনগর, ভগবানপুরে তপশিলি শংসাপত্র মানুষকে দেওয়া হচ্ছে কি না তাও জানতে চান।
দিঘা-নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কের কাজ কতটুকু হয়েছে বলে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ত দফতরের আধিকারিক বলেন, “দ্রুত কাজ হচ্ছে। ” দুর্ঘটনা রুখতে পুলিশ ও প্রশাসনকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ” মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, “গাড়ি ধরে টাকা নেওয়া হচ্ছে কেন? এসব আর করা যাবে না। কোলাঘাট থেকে দিঘা অধিকাংশ জায়গায় সিসিটিভি লাগাতে হবে। ” মুখ্যমন্ত্রী ডিজিকে বলেন, “সবকিছুই ভালোভাবে দেখতে হবে। ” মমতা বলেন, “পুলিশ খারাপ কাজ করলে বদনাম আমাদের হতে হয়। সুতরাং মাথায় রাখতে হবে, আপনাদের ভালো কাজ করতে হবে। ” জেলার মিড-ডে-মিল সেন্টার গুলোকে ভালোভাবে দেখার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।দিঘার হোটেলের ভাড়া বেশি না বাড়ানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মহিষাদলে রাজবাড়ি, পিছাবনীতে গান্ধীজির স্মারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মিউজিয়াম দ্রুত করতে হবে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।মমতা মেরিন ড্রাইভের তিনটি ব্রীজ দ্রুত করতে নির্দেশ দেন সেচ দফতরকে। মমতা বলেন, “আমি জুন মাসে আসবো এবং ওই ব্রীজের উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে যাব।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “শঙ্করপুরে ড্রেজিং এর দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। মমতা ময়নার বিধায়ক সংগ্রাম দোলাইকে ডাক্তারিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন। সুদর্শনদা আপনিও দু’ঘন্টা করে ডাক্তারি করতে পারেন। রঞ্জিত তুমি খেজুরি এলাকাটা ভালো করে দেখো।পাশাপাশি এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চারশো কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৭৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪৭টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। তবে কাজের নিরিখে এই জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিক-সহ কর্তাব্যক্তিদের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।