মানবতার আর এক নাম অলইন্ডিয়া মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশন (আইমা)

আজিম সেখ,নতুন গতি, বীরভূম:বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানার অন্তর্গত কাষ্ঠগড়া ও ভালকোপাহারি গ্রামের বেশ কিছু যুবক কলেজ সেখ,হাসু সেখ,আবু বরকত সেখ, আজিম সেখ, জয়দেব পাল, স্বপন বাগদি,কেদারনাথ পাল,সাহমত সেখ, বিদ্যুৎ সেখ, সোম হেমরম ও আরো অনেকে তারা বেশ কিছু দিন থেকে ফেসবুক এর মাধ্যমে যোগাযোগ করেন এই আইমা নামে সেচ্ছাসেবী সংগঠন টির সাথে।

    এই সেচ্ছাসেবী সংগঠন টি বর্তমানে পূর্ব মেদনীপুরের প্রতাবপুর নামে একটি গ্রামে অবস্থিত দরবার শরীফ।এই আইমা সংগঠন টির পুরো নাম অলইন্ডিয়া মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশন। এটি একটি অরাজনৈতিক এবং অসাম্প্রদায়িক সংগঠন। এক কথায়ক এনাদের কাজ হলো পিছিয়ে পড়া সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে সাহায্য করা। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়।সারা ভারতবর্ষের বুকে এই সংগঠনটি নিঃস্বার্থে কাজ করে চলছেন গরিব অসহায় দুঃস্থ মানুষদের পাশে সবসময় আছেন এই আইমা। আমরা কথা বলে জানতে পারলাম কলেজ সেখ ও সোম হেমরম সঙ্গে তারা বলেন।

    মানবতার আর এক নাম আইমা
    এটা অনেকদিন ধরেই শুনে আসছিলাম এবং সোস্যাল মিডিয়ায় এবং বিনা প্রচারে তাদের মানব কল্যাণমূলক নানান ক্রিয়াকলাপ দেখে এসেছিলাম এবং সৈয়দ রুহুল আমীন ভাইজানের ব্যাপারে বহু কিছু শুনেছিলাম কিন্তু আইমার সর্বভারতীয় সম্পাদক সৈয়দ রুহুল আমীন ভাইজান কতটা উদারচেতা মানুষ আজ তার বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করলাম।যে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা যেটা আমি আমার লেখনী দ্বারা ব্যক্ত করার প্রয়াস করলেও পারবোনা হয়তো!কারণ কিছু কিছু ফিলিংস প্রকাশ করতে পারা যায়না সব সময়।আমাদের এই এলাকায় আইমা সংগঠন নেই,তার সত্ত্বেও এখানে আইমা বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছেন শুধু মাত্র বর্তমান সময়ের সংকোটপূর্ন পরিস্থিতিকে উপলব্ধি করে এবং গরীব, দুঃখী,দুস্থদের কথা চিন্তা করে।এবং এর পরও যদি এই মানুষ টাকে আমি উদারচেতা মানুষ না বলি কোথাও একটা আমার নৈতিকতার কাছে আমাকে ছোট বলে মনে হবে।

    এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত নেই,তাই কোনো সংগঠনের প্রতি আমার বিশেষ প্রীতি বা বিদ্বেষ বা পরশ্রীকাতরতা কিছুই নেই,তবে অনেক সংগঠনকে দেখছি শুধু মাত্র প্রচার আর প্রচার টুকুই চলছে কাজ কিন্তু অনেক কম সেই তুলনায় তবে অনেক সংগঠন এমন ও আছে এই সময়ে তারা মানুষের প্রয়োজনে মানুষের পাশে ব্যাপক ভাবে আছে আইমা তার মধ্যে একটা অন্যতম সংগঠন। তাই আজ ভাইজান এর পক্ষ থেকে মেদিনীপুর থেকে গাড়ি করে বীরভূমের কাষ্ঠগড়া গ্রামে প্রায় 370 প্যাকেট ত্রান দিয়ে গেলেন। এই প্যাকেটের মধ্যে রয়েছে চিনি, ছোলা কলায়, সরষের তেল, ব্যাসন ইত্যাদি। এই ত্রাণ দেওয়া হয় সকল সম্প্রদায় এলাকার দুস্থ গরিব মানুষদের জন্য।এই ত্রাণ আমরা যথারীতি আমাদের এলাকার সমস্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি।

     

    রাণীপুর,লালবাজার,বানপাড়া, কাষ্ঠগড়া গ্রামের পক্ষ থেকে রুহুল আমীন ভাইজানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই!