হরিশ্চন্দ্রপুরে অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্বান্ত একাধিক পরিবার, সাহায্যে এগিয়ে এলেন গাংনদীয়ার স্বেচ্ছাসেবক যুবকবৃন্দ

মহঃ নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর,১১ আগস্টঃ গত রবিবার মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ১০ টি বাড়ি। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন গ্রামেরই স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার যুবকবৃন্দরা।ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর -১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির গাংনদীয়া গ্রামে।গত রবিবার মধ্যরাতে গাংনদীয়া গ্রামে আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় ১০টি বাড়ি। দমকল কেন্দ্রে খবর দেওয়ার আগেই সমস্ত কিছু হারিয়ে মাথায় হাত পরিবারের সদস্যদের।

    সূত্রের খবর, এ দিন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যখন ঘটে, তখন গ্রামের প্রায় সকলেই ঘুমিয়েছিলেন। এই ঘটনা টের পেয়ে এলাকার মানুষ হাতের কাছে যা পেয়েছেন তা নিয়েই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। পরে হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটা মার্কেট থেকে থেকে দমকল আসার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ততক্ষণে মহ:দুলাল, মহরুল আলি, রবিউল ইসলাম, ইসরাইল আলি, মুসরেফা বেওয়া, সফিকুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, মহ : আকালু ও আসেরুল আলি নামে 10 জন প্রান্তিক মানুষের বাড়ি সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশও। দমকলের পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকেও ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কী করে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল ভেবে পাচ্ছেন না কেউই।
    তবে অনুমান করা হচ্ছে মুসরেফা বেওয়ার গোয়াল ঘরের সাজাল থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
    আগুনের খবর পেয়েই শনিবার সকালে এলাকায় যান গাংনদীয়া গ্রামেরই স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার যুবকবৃন্দরা।রাজিউন ইসলাম অরফে রাজিব, মুসারফ হোসেন, সৌকত আলি, জিসান আলি, মনোতোষ, এজাজ আলি , মহ : সুভান,নমরুদ আলি,সোয়েল আক্তার ও পাতালুরা নিজস্ব তহবিল ও গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ , রসুন, শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা সহ বিভিন্ন ব্যবহার্য দ্রব্যাদি সদস্যদের হাতে তুলে দেন ।তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় আরো সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন যুবকবৃন্দরা ।

    গাংনদীয়া যুবকবৃন্দ স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার প্রধান উদ্যোক্তা রাজিববাবু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানতে পারেন, অগ্নিকাণ্ডের জেরে সর্বস্বান্ত হওয়া পরিবারগুলো আগামি কাল সোমবার কিভাবে কুরবানী দিবেন , তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাদের।বাড়িতে থাকা সমস্ত টাকাপয়সা ও অন্যান্য সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় কুরবানী কী ভাবে দেবেন ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। এই খবর শোনার পর স্বেচ্ছাসেবক যুবকবৃন্দরা সাধ্য মতো আগামি কাল কুরবানীর আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবেন ।

    মুসারফবাবু বলেন,“গত রবিবার প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ এখানে আগুন লাগে। খবর পেয়েই এখানে ছুটে এসেছি। গাংনদীয়া স্বেচ্ছাসেবক যুবকবৃন্দের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাধ্যমতো বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছি ।”