দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার পথে গয়ায় রহস্যজনক মৃত্যু বীরভূমের যুবকের

আজিম শেখ, রামপুরহাট: দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেন ধরেছিলো দুজন কিন্তু একজন বাড়ি ফিরলেও অন্যজনের মৃতদেহ পাওয়া গেলো বিহারের গয়া সংলগ্ন দেহরি শোন স্টেশন এলাকায়।

    বীরভূমের নানুর থানার অন্তর্গত পালিটা গ্রামের বছর কুড়ির যুবক শের আলি। দিল্লিতে কাজ করতো সে। গত 09/08/2019 তারিখ দিল্লি থেকে বাড়ি যাবার জন্য বছর পনেরোর সাদ্দাম কে সাথে নিয়ে কালকা মেলে উঠেছিল সে। ঈদের সময় চলছে বলে প্রচুর ভিড় থাকায় বসার জায়গা ছিল না। অগত্যায় কষ্ট করেই চলছিল ট্রেনের সফর। কিন্তু ট্রেন সকালে বর্ধমান স্টেশনে পৌছালে দেখা যায় যে শের আলির কোন খবর নেই। সাথের সেই বালকটি অনেক খোঁজাখুঁজির পরে শের আলিকে না পেয়ে একাই বাড়ি চলে যায়। পরে খবর আসে যে গয়ার কাছে দেহরি শোন ষ্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেললাইনের ধারে শের আলির মৃতদেহের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

    শের আলি (ফাইল চিত্র)
    এই খবর শোনার পর থেকেই শের আলির পালিটা স্থিত বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সেই মৃতদেহ কিভাবে বিরভুমে নিয়ে আসা যাবে তারও এখনো কোন উপায় বের করতে পারেনি মৃতের পরিবার।

    আমাদের সংবাদদাতা শের আলির সাথে যাত্রা করা সাদ্দামের সাথে কথা বলেছে। সেই বালকটির সাথে কথা বলে যা বোঝা যাচ্ছে তাতে সন্দেহ জাগতেই পারে যে এটা কি শুধুই দুর্ঘটনা না তাকে খুন করা হয়েছে? সেই বালকটি জানিয়েছে যে মুঘলসরায় স্টেশনের কাছে বিরয়ানীর দাম নিয়ে শের আলি এবং ট্রেনের হকারের সাথে রাত ৯ টার দিকে ঝামেলা হয়। শের আলিকে গয়া আসতে আসতেই দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয় সেই হকার। গয়ার আগের ষ্টেশন দেহরি শোনে শের আলির লাশ পাওয়া যাওয়াতে সন্দেহ দানা বাধছে কারন দেহরি শোনে ট্রেনে পৌঁছেছিল রাত ৯ টা ৫৩ মিনিটে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে যে এটা কি ট্রেনের সাধারন ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার মতোই একটি দুর্ঘটনা না শের আলিকে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।