জলদাপাড়া ও গরুমারা বনাঞ্চলে চোরাশিকার রুখতে আরও উদ্যোগী হল বনদপ্তর

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: জলদাপাড়া ও গরুমারা বনাঞ্চলে চোরাশিকার রুখতে আরও উদ্যোগী হল বন দপ্তর। বন লাগোয়া এলাকার মানুষদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বন দপ্তর। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। ট্রেনিং চলবে তিনদিন। একইরকম প্রশিক্ষণ এর আগে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে নেওয়া হয়েছে।

     

    বন দপ্তর ও বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতা নিয়ে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরাও এই ট্রেনিংএ অংশ নিচ্ছেন। চোরাশিকারিরা মূলত স্থানীয় মানুষদের সাহায্য নিয়েই জঙ্গলে বন্যপ্রাণ শিকার করে থাকে। চোরাশিকারীদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের ফলেই এই তথ্য উঠে এসেছে। সেই কারণে দপ্তর চাইছে বন লাগোয়া এলাকার মানুষদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই সচেতনতা তৈরীর পদ্ধতি একটু অন্যরকম। এই কারণে জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলিতেই এই প্রশিক্ষক তৈরী করা হচ্ছে।

     

    এই প্রশিক্ষকরাই অন্যদের বন্যপ্রাণ সম্পর্কে নানা জিনিস স্থানীয়দের শেখাবেন এবং তাঁদের মধ্যে সচেতনতা তৈরী করবেন। সেটাই এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য।

     

    উল্লেখ্য, ২০১৬.৫১ বর্গকিলোমিটার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান একসময় ওয়াইল্ড লাইফ স্যঙ্কচুয়ারি ছিল। ১৯৪১ সালে এই বনাঞ্চলকে ওয়াইল্ড লাইফ স্যঙ্কচুয়ারি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১২ সালে এই বনাঞ্চলকে জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা দেওয়া হয়। এক শৃঙ্গ গন্ডার সংরক্ষণের জন্য বিখ্যাত জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। জলদাপাড়া ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্ডারের আবাসস্থল। বিশ্বের গন্ডার সংরক্ষণে এই বনাঞ্চলের স্থান তৃতীয়। বর্তমানে এখানে ২৩৫টি গন্ডার আছে।