সন্তান প্রসবে মায়ের মৃত্যুর হার কমাল পশ্চিমবঙ্গ

 

    নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: মৃত্যুর হার কমাল পশ্চিমবঙ্গ। স্যাম্পেল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম অনুযায়ী এর আগে পশ্চিমবঙ্গে প্রতি এক লক্ষ প্রসবে ১১৩ জন মায়ের মৃত্যু হতো। এখন সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ১০১। যেখানে জাতীয় গড় ১৩০, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা খুব উল্লেখযোগ্য। অসম, বিহার, ওড়িশা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, পাঞ্জাব সহ বহু রাজ্যে মাতৃমৃত্যুর হার বাংলার থেকে অনেক বেশি।

     

    এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেয়েদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক জনকল্যাণমুখী কর্মসূচীর জন্যই এমন অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, রূপশ্রীর টাকা কোনও মেয়ে তখনই পায় যখন তিনি ১৮ বছরের পর বিয়ে করেন। এছাড়া স্বাস্থ্য পরিষেবায় একের পর এক যুগান্তকারী উন্নতি তো আছেই। প্রসূতি বিভাগের বিশেষজ্ঞদের আশা এই সংখ্যা শীঘ্রই ১০০র নীচে নেমে আসবে।

     

    মায়ের মৃত্যুর অন্যতম কয়েকটি কারণ হল অ্যানিমিয়া, প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা পোস্টপার্টাম হেমারেজ এবং প্রসবকালের আগে এবং গর্ভাবস্থার সময়ে রক্তপাত। এছাড়া, গর্ভধারণকালে উচ্চ রক্তচাপ এবং বহুক্ষেত্রে নানা সংক্রমণেও বহু মায়ের মৃত্যু হয়ে থাকে।

     

    গত কয়েক বছরে সরকারি ক্ষেত্রে পরিষেবার আমুল পরিবর্তন হয়েছে। এখন শুধুমাত্র লেবার রুমের বিপদ দক্ষভাবে সমালোচনার জন্য সুনির্দিষ্ট চিকিৎসকদের দল আছে এবং মায়েদের চিকিৎসা ও প্রসবকালে বিপদ সামলানোর বিষয়ে বাংলা এখন অনেক এগিয়ে।

     

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই স্যাম্পেল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের স্পেশ্যাল বুলেটিন অন ম্যাটারনাল মর্টালিটি ইন ইন্ডিয়া মে’২০১৮ প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৪-১৬ সালের মাতৃমৃত্যুর হার সেখানে প্রকাশিত হয়েছে। সেটাই সাম্প্রতিক রিপোর্ট। এর আগের ২০১১-১৩ রিপোর্টে এই সংখ্যা ছিল ১১৩।