তৃণমূলের বহু পঞ্চায়েত সদস্য সারাদিন খালি টাকা তুলে বেড়াচ্ছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:- তৃণমূলের বহু পঞ্চায়েত সদস্য সারাদিন খালি টাকা তুলে বেড়াচ্ছেন! তাঁদের আর কোনও কাজ নেই! না, বিরোধীদের কোনও অভিযোগ নয়। ভাইরাল ভিডিও-য় (Viral Video)দলের পঞ্চায়েত নেতাদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিম বর্ধমান (West Burdwan) জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতিকে (TMC Leader)। ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।  এই ভিডিও ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।ভাইরাল ওই ভিডিওতে তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতিকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত নেতাদের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা সমীর বিশ্বাসকে বলতে শোনা যায়, বিভিন্ন নির্বাচনে বহিরাগত হস্তক্ষেপ। যাঁরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, তাঁরা কীভাবে হয়েছেন, ঘরের মধ্যে বলতে অসুবিধা নেই। কীভাবে তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন আমরা সকলেই জানি। কিন্তু নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরে তাঁরা পদের চেয়ারে বসার পরেই এমন এক একজন তৈরি হয়ে গিয়েছেন, তাঁরা নিজেরাই ভাবছেন আমরা এক একটা দল। বেশিরভাগ অঞ্চলে পঞ্চায়েত মেম্বাররা, তাঁরা সকাল থেকে উঠে সন্ধে পর্যন্ত কেউ বাইকে, কেউ হেঁটে, কেউ খালি ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু কোথা থেকে টাকা কামানো যায়, আর তাঁদের কোনও কাজ নেই। স্থানীয় সূত্রে দাবি, এই ভিডিও গত রবিবারের। ওই দিন কাঁকসার কুলডিহার শহিদ সুকুমার মেমোরিয়াল স্কুলে মলানদিঘি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের তফশিলি জাতি ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।ভিডিও সামনে আসতেই নিজের দলেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি। তৃণমূল নেতা ও কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রবোধ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, এই কথাগুলি প্রকাশ্যে বলা ঠিক হয়নি। কারণ উনি একজন পদাধিকারী। এই কথাগুলি নেতৃত্বদের মধ্যে বলা উচিত ছিল।অন্যদিকে, সমীর বিশ্বাস বলেছেন, দলের ব্যাপার ঘরের ভিতরে আলোচনা হতেই পারে। সুখ-দুঃখের কথা বলতেই পারি। সেটা বাইরে জানানো হবে, তা ঠিক নয়। তার মানে দলের কর্মী নয়। হতে পারে তৃণমূলের জামা পরে বিরোধীদের কেউ একাজ করেছে।এদিকে তৃণমূলের অন্দরের এই বিতর্ক নিয়ে  বিজেপি কটাক্ষ করেছে। বর্ধমান সদর বিজেপির সহ সভাপতি রমন শর্মা বলেছেন, তৃণমূল যে মানুষের ভোটে জেতেনি, তাতে সিলমোহর দিলেন জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি। সাধারণ কর্মীদের কাছে এই কথা বলে হাততালি নিলেও উঁচুতলার নেতৃত্বের কাছে তা বলার ক্ষমতা তাঁর নেই।