নবম শ্রেণির ১৩ বছরের ছাত্রীর লাগাতার ধর্ষণ বিবাহিত প্রাইভেট শিক্ষকের, জঘন্যতম ঘটনা উঠে আসলো মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থেকে

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : ভারতবর্ষে ধর্ষণ হওয়াটা আজকে অস্বাভাবিক কিছু নয়, প্রতিদিন লাখো ধর্ষন হওয়ার পর উঠে আসে সামান্য কিছু ঘটনা। ঠিক আজকেও উঠে আসলো এক ছোট্ট গ্রামের জঘন্যতম ঘটনা। মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা থানার অন্তর্গত ৭ন: সুন্দরপুর অঞ্চলের ওড়াহার গ্রামের এক বিবাহিত প্রাইভেট শিক্ষক তার নবম শ্রেণির ১৩ বছরের ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে লাগাতার ধর্ষন করার অভিযোগ উঠে আসলো।

     

    ধর্ষকের নাম রহিম শেখ ডাক নাম মিঠু, পিতার নাম টিয়ারুল শেখ, অভিযোগ দীর্ঘ ১ বছর থেকে ওনার কাছে প্রাইভেট পরে ওড়াহার গার্লস হাইস্কুল এর নবম শ্রেণির ছাত্রী । অষ্টম শ্রেণি থেকে ওনার কাছেই পড়াশুনা করে সেই ছাত্রী। জানা গিয়েছে এর আগেও অনেকবার এই রকম অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়েছে রহিম শেখ ওরফে মিঠু, পূর্বে বাড়ি ছিল ভগবানগোলার ডাঙ্গা পাড়ায় পরবর্তিতে সেখান থেকে সুন্দরপুর অঞ্চলের বালিগ্রাম চলে আসে। বালিগ্রাম আসার পরও অশ্লীল চরিত্র ও একাধিকবার বিবাহে লিপ্ত থাকায় সেখানেও টিকতে না পেরে ওড়াহার গ্রামে বাড়ি করে।

     

    ছাত্রীর অভিযোগ ক্লাস যখন শেষ হয়ে যেতো সবাইকে ছুটি দিয়ে সারিফা কে উপর তালায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করতো শিক্ষক রহিম শেখ, দীর্ঘদিন ধরে এই রকম করে শিক্ষক, অভিযোগ প্রায় ৪ বার সেই ছাত্রীকে কে ধর্ষণ করেছে ওর শিক্ষক। ছাত্রী বলে আমাকে উপরে নিয়ে গিয়ে ওই সব করতো, আমি নিষেধ করলে আমার মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরে আমাকে ধর্ষণ করেছে, আমাকে ভয় দেখিয়েছে আমি যদি কাউকে বলে দেই তাহলে আমাকে খুন করে দেবে, কেটে কোথাও লুকিয়ে দেবে। আমাকে বলেছে তোকে বিয়ে করব আমি রাজি না হওয়ায় আমার মুখ বন্ধ করে ধর্ষণ করেছে।

    এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকে থেকে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে, গ্রাম বাসির অভিযোগ যখন একজন শিক্ষক এই রকম কাজ করতে পারে নিজের ১৩ বছরের একজন ছাত্রীর সাথে তার উপর শিক্ষক বিবাহিত, তাহলে আমরা আমাদের মেয়েদের কার ভরসায় পড়াশুনা করতে পাঠাবো। অনেক জন মহিলার অভিযোগ তাদেরও মেয়ে এই শিক্ষকের কাছে পড়াশুনা করতো এমন অবস্থায় কি করবে গ্রাম বাসি সবাই চিন্তিত, সকলের দাবি দোষীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যেহেতু বিবাহিত হওয়ার পরও একাধিকবার ধর্ষন তাই তাকে ফাঁসি দেওয়া হোক দাবি এলাকাবাসীর।

    জানা গিয়েছে সেই ওরাহার গ্রামের ৪ ন: বুথ মেম্বারের বনের ছেলে এই দুষ্কৃতী, বুথ মেম্বারের পরিবারের তরফে এই সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়, তৃণমূলের বুথ মেম্বারের স্ত্রী বলেন যে এটা একটু রাজনৈতিক চক্রান্ত সিপিআইএম এবং কংগ্রেস এই চক্রান্ত করেছে, উনার এই মন্তব্যের পর এলাকাবাসী ওনার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে যায়, এলাকাবাসী বলেন আজকে যদি এই ধর্ষক দোষী সাব্যস্ত হয়ে যায় তাও রাজনৈতিক ক্ষমতা ও টাকার জোরে আবার জেল থেকে নিয়ে চলে আসবে।

     

    উল্লেখ্য যে দেশের মধ্যে ধর্ষন হওয়াটা আজকে মামুলি ব্যাপার, যখন ধর্ষন করার পর ধর্ষক পার্লামেন্টের মেম্বার হয়ে যায়, যখন শত শত ধর্ষন করার উপর উপযুক্ত সাজা হয়না, গণধর্ষন করে হত্যা করার পরও দুষ্কৃতীদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়না তখন এই ধর্ষন বিষয়টাতে মানুষ ওইটা ভয় পায়না। এত বড় জঘন্যতম একটা অপরাধ আজকে রাজনৈতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।