বীরভূমের সাংবাদিক কাঞ্চন সরকার প্রয়াত

মহিউদ্দীন আহমেদ: বৃহষ্পতিবার রাতে প্রয়াত হলেন সাংবাদিক কাঞ্চন সরকার। বীরভূমের সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাপ্তাহিকী নয়াপ্রজন্ম এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে এই খবর শোনা মাত্রই শোকের ছায়া নেমে আসে জেলার সাংবাদিক তথা রাজনৈতিক, প্রশাসনিক সব মহলেই। প্রানোচঞ্চল, সব সময়ই বীরভূমের সদর শহর সিউড়ী থেকে রামপুরহাট, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া,বোলপুর শুধু শহরই নয় প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চল সব জায়গায় প্রতিদিনই ছুটে বেড়াতেন সংবাদের সন্ধানে। তার হাতে প্রতিষ্ঠিত নয়াপ্রজন্ম পত্রিকা সাংবাদিক গড়ার কারখানা, একটা ইন্সটিটিউট, আর তিনিই অনেক সাংবাদিকের শিক্ষক – প্রশিক্ষক ছিলেন। বড় বড় দৈনিক ও বড় টেলিভিশন চ্যানেলের অনেক সাংবাদিকই কাঞ্চন সরকারের হাতে গড়া।

    জীবনে তিনি শুধু সাংবাদিকতাই করেন নি। বীরভূমের শহর-গ্রাম সবই চষে বেড়িয়েছেন। বীরভূমের প্রবীন বিশিষ্ট গুনীজন- শ্রদ্ধাভাজন মানুষ – পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা সকলকেও শ্রদ্ধার মঞ্চে বসাতেন। সাংবাদিকতা ছাড়াও নাট্ট চর্চা-গবেষনা-সাহিত্য-শিক্ষা-সংস্কৃতি থেকে শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্নবান ছিলেন। তিনি ছিলেন সাংবাদিকদের স্তম্ভ। প্রতিবাদী কন্ঠ। তিনি জেলার চন্ডীদাস, চন্দ্রভাগা সহ একাধিক সংবাদপত্রে লেখালেখি করেছেন। পরে নিজে প্রকাশ করেন নয়াপ্রজন্ম। তবে জেলার বাইরে দৈনিক পত্রিকায় সাংবাদিকতা করার যোগ্যতা থাকলেও সে দিকে পা বাড়ান নি। শুক্রবার সকালে সোস্যাল মিডিয়াই তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই জেলার সাংবাদিক-প্রশাসনিক রাজনৈতিক থেকে সাহিত্য শিক্ষা নাট্ট সব মহলেই শোকের ছায়া নেমে আসে। হঠাৎ মৃত্যু সংবাদে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে সকলেই। তার মরদেহ সিউড়ী শহরের রেডক্রস সোসাইটি, নয়াপ্রজন্ম দফতর, তার সাংস্কৃতিক পীঠস্থান সবুজের অভিযান সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। হাজার হাজার মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।