পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের রকির হাতে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডের মেডেল ও শংসাপত্র

সাকিব হাসান : সফলতা নয় উজানের কৈ, সে তো অমাবস্যার চাঁদ, সফলতা আসে অধ্যবসায়ে কঠোর শ্রমে দিন রাত এই সুরেই সুরভিত ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড জয়ী নন্দকুমারের সেখ আমেদুল্লা ওরফে রকি। নন্দকুমার হাই রোড পার্শ্ববর্তী হাঁসগেড়িয়া গ্রামে বাড়ি রকির। রকি একদিকে অভিনেতা, নির্দেশক ও অন্যদিকে সমাজকর্মী,পরিবেশ কর্মী৷ এককথায় বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন ছেলে রকি৷ প্রায় ১০-১১ বছর ধরে সমাজকর্মী ও পরিবেশ কর্মী হয়ে কাজ করে চলেছেন রকি৷ সেই সুবাদে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে রকির নাম নথিভুক্ত হয়েছে। রকি সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে থাকা এক স্বপ্নের ফেরিওয়ালা৷ নন্দকুমার থিয়েটার গ্রুপের কর্ণধার ও সম্পাদক হিসেবে কর্মরত তাছাড়া একাধিক পদে নিযুক্ত রকি। সাথে সবুজ বাঁচানো তার নেশা। রকি ছোটোবেলা থেকেই অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সাথে ও পাশে থেকে কাটিয়েছে বেশ কয়েকটি বছর।ফোনে অসহায় মানুষের করুন কষ্টের খবর আসা মাত্রই কখনো কখনো খাওয়ার থালা ছেড়ে দিনরাত এক করে মানুষের পাশে থেকেছে রকি৷ গত লকডাউন এবং বন্যা পরিস্থিতিতে রকি ও তার বন্ধুরা মিলে নন্দকুমার ও নন্দকুমারের বাইরে গিয়েও বেশকিছু এলাকায় এলাকায় চাল, ডাল, সোয়াবিন, সাবান, মাস্ক, স্যানিটাইজার, ঔষধ, অক্সিজেন সিলিন্ডার, বিস্কুট ও শিশুদের বেবি ফুডও তুলে দিয়েছে বন্যাকবলিত, লকডাউনে ঘরবন্দী পরিবার ও অসুস্থ মানুষের হাতে৷

    রকি ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ড ও আন্তর্জাতিক সহ একাধিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছে। রকির বাবা ও মা জানান, ছেলের এমন সাফল্যের জন্য পুরো পরিবার আনন্দিত৷ এছাড়াও বলেন, আমার ছেলে রকি মঞ্চে অভিনয়ের পাশাপাশি সমাজকর্মী হয়ে কাজ করায় সবসময় আমরা ওকে সার্পোট ও সহযোগিতা করতাম৷ আমরা চাই আমার ছেলে রকি আরো এগিয়ে যাক৷ পূর্ব মেদিনীপুরের নাম উজ্জ্বল করুক৷ পরিশেষে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড জয়ী রকি নিজেই বলেন, এই রেকর্ড বা সাফল্যের পেছনে আমার মা ও বাবার পাশাপাশি সহযোগি বন্ধু-বান্ধবী, দাদা-দিদি ও আমার কাছের ব্যক্তিবর্গদের ভূমিকা অপরিসীম। উনারা না সহযোগিতা করলে আজ এই রেকর্ড বা সাফল্য আমার হাতে এসে পৌছাত না৷ তাই উনাদের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাই ৷এছাড়াও রকি বলেন, আমি মানুষের হয়ে কাজ করায় এই সাফল্য৷ আমি এই রেকর্ড করায় আমার পরিবারের পাশাপাশি এলাকাবাসীও ভীষন খুশি হয়েছে ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেও অনেকেই ৷ তাই আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সাথে ও পাশে থেকে আরো কাজ করতে চাই। আমার একাধিক সম্মানের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান বুকে রেকর্ডে নাম নথিভুক্ত হয়েছে। আমার পরবর্তী লক্ষ এশিয়া বুক অফ রেকর্ড ও গিনেস বুক অব রেকর্ড গড়া। আমরা সকলেই পারি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে। তাই চলুন আমরা সকলে হাতে হাত রেখে একা নয়, দলবদ্ধ হয়ে সমাজসেবী না হয়ে সমাজকর্মী হয়ে ও পরিবেশকর্মী হয়ে কাজ করি ৷