|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর: ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দুটো সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি ঈদুল ফিতর। ধর্মীয় পরিভাষায় একে ইয়াওমুল জায়েজ অর্থাৎ পুরস্কারের দিবস হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনার পর ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্যপালনসহ খুব আনন্দের সাথে পালন করে থাকে। হিজরি বর্ষপঞ্জী অনুসারে রমজান মাসের শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদুল ফিতর উৎসব পালন করা হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজানের সমাপ্তিতে শাওয়ালের প্রারম্ভ গণনা করা হয়। ঈদের চাঁদ স্বচক্ষে দেখে তবেই ঈদের ঘোষণা দেয়া ইসলামী বিধান। ঈদের সময় সকলে নতুন পোশাক, বিভিন্ন সুস্বাদু সব ভোজনের আয়োজন করেন। আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরাও এই আনন্দের অংশীদার হয়। মিষ্টি, নতুন জামাকাপড়, উপহার এবং অন্যান্য জিনিস কিনে ঘরবাড়ি সাজানো হয়। তবে এই উত্সবের অন্যতম অংশ হল মেহেন্দি।
এই মেহেন্দি ছাড়া ঈদের উত্সব প্রায় অসম্পূর্ণ।
মুসলিম মহিলারা ঈদের উত্সবে নিজেদের সাজিয়ে তুলতে দুই হাতে মেহেন্দির সুন্দর সুন্দর নকসা করে থাকেন। । ঈদের আগের দিন পরিবারের সব মহিলারা একে অপরের হাতে মেহেন্দি পরিয়ে দেন।
বর্তমানে মেহেন্দির নকসা যাতে নজরকাড়া হয়, তার জন্য দোকানে বা পার্লারে গিয়ে ট্রেন্ডি ডিজাইনের মেহেন্দি পরতে পছন্দ করেন মহিলারা।