মেমারির কেন্না গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীতে স্থপতিদের অগ্রাধিকার

সংবাদদাতা : বহু রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার অব্যবহিত পর দলের পুরনো কর্মীরা এক প্রকার কোন্ ঠাসা হয়ে পড়েছিল। এই ছবিটা রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই পরিলক্ষিত। মেমারি ও তার ব্যতিক্রম ছিলনা। মেমারি ১নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের নবনিযুক্ত সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জি এই পদে আসীন হওয়ার পর এই সর্বপ্রথম বিজয়া সম্মেলনী উপলক্ষে দলের পুরনো কর্মী তথা স্থপতিদের বিশেষ মর্যাদার আসনে বসিয়ে সম্বর্ধিত করলেন নিত্যানন্দ ব্যানার্জি। নিমো ২ নং অঞ্চলের কেননা গ্রামের মাঠে ১৯ অক্টোবর এক বর্ণাঢ্য বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করে মেমারি ১ নং তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ ও বিশেষ করে দলের পুরনো কর্মীদের উপস্থিতি সকলকে চমকে দেওয়ার মত ছিল। সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাগত জানান মেমারি ১ নং তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, দলের পুরনো দিনের কর্মী তথা স্থপতিদের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যাঁদের যাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সকলেই উপস্থিত হয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও বুথে বুথে মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়। এ দিনের এই বিজয়া সম্মিলনী যেন এক ভিন্ন স্বাদের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে ই আন্তরিকতার সঙ্গে উষ্ণ অভিনন্দন পাওয়ায় নিত্যানন্দ বাবুকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেমারি প্রাক্তন বিধায়ক বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের মেন্টর আবুল হাসেম মন্ডল, মেমারি পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী, ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত, ট্রেড ইউনিয়ন সভাপতি ওসমান গনি, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মির পারভেজ, জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি প্রলয় পাল, শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি কৌশিক মল্লিক, মহিলা সভানেত্রী দীপা দাস, খেদমজুর ও কিষান সংগঠনের সভাপতি দেবা ঘোষ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অনুভা নাড়ু সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও বাউল সংগীত, আদিবাসী নৃত্য, অন্যান্য লোকসংগীত ও লোক ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।