|
---|
আসিফ রনি ও আব্দুস সামাদ : কোভিড নাইন্টিনে মানুষের জীবন হয়ে উঠেছিল ক্রমশ বিপজ্জনক, তৈরি হয়েছিল এক আতঙ্ক! তবে বর্তমানে মানুষ কিছুটা হলেও COVID- 19, এর মত ভাইরাসের আতঙ্ক থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ।
তবে কোভিডের কারণে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে যুবক সমাজ। তবে এবার গ্রামের যুবকদের ক্রিয়া প্রেমী করার লক্ষ্যে অভিনব পন্থায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জনাব আখরুজ্জামানের উদ্যাগে ‘এমএলএ কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২’ এর আয়োজন করা হয়েছে।
যার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয় ১৮ ই ডিসেম্বর রঘুনাথগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বড়শিমুল মাঠে । এদিন দেশাত্মবোধক সংগীতের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় । উপস্থিত ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অভিনেত্রী সাংসদ শতাব্দী রায় । তিনার হাত দিয়েই হয় এমএলে কাপের পতাকা উত্তোলন হয়।
শুরু হয় মাঠের বাইরে দর্শকদের আনন্দ উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা । এই দিনের এমএলএ কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে উপস্থিত ছিলেন, মুর্শিদাবাদ জেলার ডিআইজি রশিদ মুনির খান (আই পি এস),উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলাশাসক রাজশ্রী মিত্র (IAS), মুর্শিদাবাদ, ও জঙ্গিপুর দুই পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার, উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী লাভলী মৈত্র । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সুব্রত সাহা, জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিধানসভার বিধায়ক গণ। এই দিনের এমএলে কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্যোক্তা তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ দপ্তরে প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান বলেন, রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভার মানুষকে আমি একটি ভালো খেলা উপহার দেব। তিনি বলেন এখন আন্তর্জাতিক ফিফা ফুটবল প্রতিযোগিতা চলছে, ইচ্ছে ছিল প্রতিবছরের মতই এই বছরও ফুটবল টু্নামেন্টের ব্যাবস্থা করার । শুধুমাত্র যুবকদের কথামতো রঘুনাথগঞ্জ 59 নম্বর বিধানসভার 12টি পঞ্চায়েত নিয়ে এই এমএলএ কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। আর তারই উদ্বোধন হলো অনেক আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে। আর এদিন শুধুমাত্র খেলা নয়,শীতার্ত মানুষের কথা ভেবে তাদের শীতবস্ত্র প্রদান করা হয় । উপরদিকে সমাজের কচিকাঁচা ছোট শিশুদের মেধাকে পরিস্ফুটিত করার জন্য একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চেরও ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে।
সেখানে তারা তাদের মেধা কে ফুটিয়ে তুলবে এবং তাদের আগামী ২৬ তারিখ ফাইনাল খেলায় তাদের পুরস্কৃত করা হবে। এদিন বিধায়ক আখরুজ্জামান আরো জানান,আমার বিধানসভায় যাদের মধ্যে খেলার প্রবণতা রয়েছে তাদের, এই খেলার মধ্যে দিয়ে বাছাইকৃত করে রাজ্য রঞ্জি ট্রফিতে খেলার সুযোগ করে দেওয়ায় আমার মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। এই উদ্বোধনী ক্রিকেট টুর্নামেন্টে প্রতিযোগিতা করেন জোত কমল বনাম বর্শিমুল। পরিশেষে জয় ছিনিয়ে নেয় বর্সিমল!! তবে মন্ত্রী মহাশয় বলেন জয় যারই হোক না কেন আজকের এই প্রতিযোগিতা ভ্রাতৃত্বশুলভ আচরণের মধ্য দিয়েই হয়েছে।
পরিশেষে তিনি রঘুনাথগঞ্জ 59 নম্বর বিধানসভার সর্বস্তরের মানুষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন রঘুনাথগঞ্জের বাসি যেভাবে শেষ পর্যন্ত পরিবেশ সুস্থ রেখেছিলেন তা সত্যি আনন্দের ও গর্বের।