মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে সফল ইউটিউবার মাথাভাঙ্গার কলেজ পড়ুয়া খালেক, অবাক হবেন মাসিক রোজগার শুনলে

নতুন গতি ডিজিটাল: ইচ্ছা শক্তি, ধৈর্য্য শক্তি ও কঠোর পরিশ্রম,এই তিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুললে সাফল্য যে অনিবার্য, আরও পাঁচজনের মতো তারই উদাহরণ ইউটিউবার খালেক রহমান। কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা-১ ব্লকের শিকারপুর পঞ্চায়েতের দরিবশ গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান খালেক। একসময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে মগ্ন থাকায় নানান কথা শুনতে হয়েছিল পরিবার সহ প্রতিবেশীদের কাছে। ইউটিউবে কাজ করার প্রথম দিকে বন্ধুবান্ধবদের থেকে কটূক্তি শুনতে হয়েছিল অবিরাম।৩ বছর আগে মায়ের জমানো ৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি স্মার্টফোন কেনেন তিনি। সেই স্মার্টফোন দিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন তথ্যমূলক ভিডিয়ো বানিয়ে তা আপলোড করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন বছর ২৩-এর খালেক। বর্তমানে অনার্স সহ বি.এ পাস করে বি.এড করছেন।

    খালেকের বাবা সফিয়ার রহমান বলেন, আমি কোনওদিন ভাবিনি ছেলে মোবাইল দিয়ে কাজ করে সফলতা অর্জন করবে, একসময় খুব রাগ হত সারাদিন মোবাইল ঘাঁটতে দেখে।
    খালেকের ইউটিউব চ্যানেলের নাম এমডি-৩৬০। বর্তমানে প্রায় ১২ লক্ষের বেশি সাবসক্রাইবার। ইতিমধ্যে আমেরিকা থেকে আসা সিলভার প্লে বাটন ও গোল্ডেন প্লে বাটন পুরস্কার পেয়েছে। সফল ইউটিউবার খালেক জানাচ্ছেন,২৬ অক্টোবর ২০১৮-তে একটি ইউটিউব চ্যানেলে খুলে সেখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন তথ্য ভিডিয়ো আকারে তুলে ধরি। সেগুলো রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন চাকরির আপডেট, স্কলারশিপ, প্রকল্প এছাড়াও বিভিন্ন ফর্ম ফিলাপের ভিডিয়ো। এরপর এইভাবে কিছুদিন চলল, হঠাৎ মাঝপথে দেখি আমার ভিডিয়ো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ আমার ভিডিয়ো দেখছে এবং চ্যানেলের সাবসক্রাইবার সংখ্যাও বাড়ছে। তিনি আরও জানায়,যদি কেউ ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে চায় তাহলে অবশ্যই নিজের মধ্যে থাকা ভালো গুণগুলো তুলে ধরে সেইভাবে ভিডিয়ো বানাতে হবে। সফলতা একদিনে আসে না, তার জন্য আমাদের দরকার ইচ্ছা শক্তি,ধৈর্য্য শক্তি ও কঠোর পরিশ্রম। বর্তমানে আমি ইউটিউব থেকে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করি।