নজরুলের গানে সুর পরিবর্তনের বিরুদ্ধে নজরুল চর্চা কেন্দ্রের প্রতিবাদ।

সুবিদ আলি মোল্লা, নতুন গতি : কাজী নজরুল ইসলাম সমগ্র দেশের গর্ব অহংকার। স্বাধীনতা সংগ্রামের দিনগুলিতে তার কবিতা ও গানের সুরে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মুখর হয়ে ওঠে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। সেই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের গানের সুর পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বারাসাত নজরুল চর্চা কেন্দ্র প্রতিবাদে পথে নামে পয়লা ডিসেম্বর ,২০২৩ কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ কপাট/কবাট’ গানটিতে কবির দেওয়া সুর পরিবর্তন করে একটি হিন্দি সিনেমায় যেভাবে ব্যবহৃত হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে অশোকনগরের চৌরঙ্গী মোড়ে একটি পথসভার আয়োজন করে নজরুল চর্চা কেন্দ্র। কাজী নজরুল ইসলামের মূর্তিতে মাল্যদান করে অশোকনগরের চৌরঙ্গী মোড়ে এই প্রতিবাদ সভার সূচনা করেন সংস্থার সম্পাদক শাহজাহান মন্ডল। তিনি এ.আর.রহমান সুরারোপিত গানটিকে সিনেমা থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানান অথবা মূল সুরে গানটিকে নতুন করে রেকর্ডিং করে সিনেমায় যুক্ত করার আহ্বান জানান। ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ উদ্বোধনী সংগীত হিসেবে পরিবেশন করেন সংস্থার সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা দেবযানী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নজরুল চর্চা কেন্দ্রের সদস্যরা। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন দীঘড়া হরদয়াল হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক রাধানাথ ঘোষ। সংস্থার সভাপতি শেখ কামাল উদ্দীন গানটি রচনার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে কবি পরিবারের যাঁরা সিনেমায় গানটিকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন এবং সিনেমায় রিলিজ করার আগে একবার শোনার প্রয়োজন বোধ করেননি তাঁদেরও ধিক্কার জানান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে নজরুল একাডেমী তৈরি করেছেন তাকে আরও সক্রিয় হ’তে অনুরোধ জানান। এই গানটিকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে নজরুল সম্পর্কে যে আগ্ৰহ তৈরি হয়েছে তাকে আরও দৃঢ় করার জন্য একটি নজরুল মঞ্চ গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। প্রতিবাদ সভায় ‘অশোকনগর পিপলস্ কালচার’ কাজী নজরুল ইসলামের ‘শিকল পরা ছল’ ও ‘কান্ডারী হুঁশিয়ার’ পরিবেশন করেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক বাকিবিল্লাহ মন্ডল, সাংবাদিক আয়ুব আলি, প্রদীপ মিত্র, অশোককুমার দাশ প্রমুখ।