মহতী মরণোত্তর অঙ্গদানে ধন্য হল মানবজীবন

সুবিদ আলি মোল্লা, নতুন গতি : গত ২৬ এপ্রিল, বুধবার কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে এক মহতি মরণোত্তর অঙ্গদান হল। চলতি বছরে এই নিয়ে অষ্টম অঙ্গদান। মনোত্তর চক্ষুদান ও অঙ্গদানের প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। মরণোত্তর অঙ্গদানের এই মহান যজ্ঞে যার নাম যুক্ত হল তিনি হলেন শম্ভুপ্রসাদ বেরা (৫৬)। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর। পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। গত শনিবার সেরিব্রাল অ্যাটাক হবার পর চণ্ডীপুরেরই একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয় শম্ভুবাবুকে। সেখানেই চিকিৎসকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, যে কোন সময়ে ব্রেন ডেথ হয়ে যেতে পারে। দেহ দানের কোন অঙ্গীকার করা ছিল না। এই সংকটজনক সময়েই শম্ভুবাবুর পরিবার জানতে পারেন অঙ্গদানের কথা। শম্ভু বাবুর মেয়ের উদ্যোগে তারা অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। পরিবারের লোকজন শম্ভুবাবুকে নিয়ে চলে আসেন কলকাতায়। প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান তারা। সেখান থেকেই সোজা এস এস কে এম ট্রমা সেন্টার। ব্রেন ডেথ হওয়ার পর তারা ROTTO -র সঙ্গে যোগাযোগ করে ফেলেন এবং অঙ্গদানের সম্মতি জানিয়ে দেন। আজ সকালে শম্ভুবাবুর শরীর থেকে অঙ্গ সংগৃহীত হয়। দুটি কিডনি চলে যায় কম্যান্ড হাসপাতালে। আর লিভার যায় দিল্লীর ILBS- এ। দুটি কর্নিয়াও সংগৃহীত হয়েছে। রাজ্যের পক্ষে এটা গৌরবের যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অঙ্গ বাইরের কোন রাজ্যে গেল।

    বিজ্ঞান সংস্থার পক্ষে সুজন ভট্টাচার্য দীর্ঘক্ষণ ধরেই এস এস কে এমে উপস্থিত ছিলেন। বারাসাত সামাজিকের পক্ষ থেকে শম্ভুপ্রসাদ বেরার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। অঙ্গদানের সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন অঙ্গদাতার কন্যা বন্যা বেরা এবং ভাইপো অনিরুদ্ধ বেরা ও পরিবারে অন্য সদস্যরা।