|
---|
শেখ মোহাম্মদ ইমরান,নতুন গতি, মেদিনীপুর:- মকরসংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে কেশপুরের বিভিন্ন এলাকায় মেলার আসর বসে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের এক মহামিলন ক্ষেত্র হয়ে উঠে এই মেলা।
নেড়াদেউলে প্রাচীন কামেশ্বরের ভৈরব মন্দির রয়েছে এবং ভেতরে রয়েছে শিবলিঙ্গ ও শিবের মূর্তি। মকরসংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে এই মন্দিরের পাশে পনের দিন ব্যাপী মিলন মেলা বসে। পার্শ্ববর্তী গ্রামের প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে সমস্ত রকমের জিনিস পাওয়ার বিপুল সম্ভার এই মেলা।
আগেকার দিনে এই নেড়াদেউলে মেলা যাবার জন্য পার্শ্ববর্তী সকল গ্রামের মানুষের একমাত্র বাহন ছিল গোরুর গাড়ি। সারি সারি গরুর গাড়িতে চেপে সবাই মেলায় উপস্থিত হত। এই মেলাকে কেন্দ্র করে মুগবসান, বাজুয়ারা, কেশপুর, সরুই, শাখপুর গ্রামের মধ্যে গরুর গাড়ীর প্রতিযোগিতা চলত। গরুর গাড়িকে বিশেষ ভাবে সাজিয়ে রাখা হত।
একসপ্তাহ আগে থেকে গোরুর বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ চলত। তবে অনেকসময় দুর্ঘটনাও ঘটত। এই প্ৰতিযোগীতাতে বাজি হত। কিন্ত বিংশ শতাব্দীর উচ্চ প্রযুক্তির স্বর্ণ যুগে সবই ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে। যদিও গতকাল প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য বাজুয়ারা থেকে কিছু গরুর গাড়িকে যেতে দেখা যায়। অন্যদিকে পঞ্চমীতেও বিশাল মিলন মেলা বসে। প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। মুগবসানেও রাজ্য সড়কের পাশে টুসু মেলা বসে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে মুগবসানবাসী আনন্দে মেতে ওঠে।