|
---|
শরীফুল ইসলাম, নতুন গতি ডেস্ক:
জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি, কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের পর থেকেই আতঙ্কে কাটছে তাঁর।
‘ঠাকুর ঘরে কে , আমি তো কলা খাইনি’ –খুব পুরোনো বাংলার প্রবাদ টেনে এনে বিরোধী এবং তাঁর শিবিরেরই কেউ কেউ আকারে ইঙ্গিতে তাঁকে যতই খোঁচা দিক,
মুকুল রায় এখন গ্রেফতার এড়াতে কোর্টের কাগজ এবং বাড়তি নিরাপত্তা জোগার করতেই ব্যস্ত।
সোমবার , হাঁসখালি এসে নিহত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী , আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে কথা বলার পর তৃণমূল যুব সভাপতি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুকুল বাবুর নাম না করে পরিষ্কার বলেন ভুল ত্রুটি করে দিল্লি গিয়ে পাইজমা ধরে পার পাওয়া যাবে না। ঘাড় ধরে শ্রী ঘরে ঢোকাবে রাজ্যের প্রশাসন।
সূত্রের খবর , অন্য একটি মামলায় আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোর্টের নির্দেশ মুকুল রায় কে গ্রেফতার করা যাবে না। তার মধ্যেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে সত্যজিৎ খুন মামলার আগাম জামিনের শুনানি। সেখানে জামিনের ব্যবস্থা হয়ে গেলে আপাতত নিশ্চিন্ত।
কিন্তু, মুকুলের এত তাড়া ও আশঙ্কা কিসের ?
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের অভিমত, একদা রাজ্য শাসক দল তৃনমুলের সেকেন্ড ম্যান দল ছেড়ে বিজেপি তে আসার পর অনেক সুযোগ নিলেও সেই অর্থে বিজেপিকে তেমন রিটার্ন দেওয়ার সুযোগ পাননি। অথচ নতুন দলে ঢুকেই ছড়ি ঘুরিয়ে পুরোনোদের বিরাগভাজন হয়ে পড়েছেন। কিছুদিনের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবে। নদীয়া জেলা হাতের তালুর মতন চেনা জানা মুকুলের। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় নদিয়ার দুটি আসন বিজেপির পাখির চোখ। তাই বিজেপির কাছে মুকুল রায় তুরুপের তাস।
গ্রেফতার হয়ে গেলে মুকুলের পক্ষে ক্যারিশ্মা দেখানো আর সম্ভব না। তখন আম ও ছাল দুই যাবে মুকুলের।