সুসন্তান কালীকৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য প্রণীত “শান্তিপুর পরিচয়” পুনর্মুদ্রণ করলো শান্তিপুর মরমে

 

    নিজস্ব প্রতিবেদক, নতুন গতি, নদীয়া;শান্তিপুরের কৃতিসন্তান কালী কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য সঙ্গীতজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, আইনজ্ঞ এবং সাহিত্যিক ছিলেন। শ্রীমদ্ভাগবত গীতাকে, উপজীব্য করে কবিতা, আলোচনা, টিকা কে প্রবন্ধকারে প্রকাশ করে তিনি গীতাভূষণ উপাধি লাভ করেন। তবে তার লেখায় ইংরেজি ও বাংলা বিভিন্ন গ্রন্থের মধ্যে, শান্তিপুরের সামাজিকতা জনজীবন, পুরাতত্ত্ব, শিক্ষা, ধর্ম, ব্যবসা, যোগাযোগব্যবস্থার মতন নানা ভৌগলিক এবং ঐতিহাসিক উপাদান নিয়ে১৩৪৪ এবং১৩৪৬ সালে দুটি খণ্ডে প্রকাশ করেন “শান্তিপুর পরিচয়”। সেই সময় ওই বই দুটির দাম ছিল যথাক্রমে দেড় টাকা এবং আড়াই টাকা। এরপর ইংরেজির ১৯৬৪সালে তিনি মারা যান! তার কর্মস্থল শান্তিপুরের বঙ্গীয় পুরান পরিষদে প্রায় আড়াই হাজার বই সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে রাখা হয়। শান্তিপুর সম্পর্কে তথ্য সকলের হাতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে, শান্তিপুর মরমী ২০১৬ সালে দুটি খন্ড কে একত্রিত করে শান্তিপুর পরিচয় ৫০০ কপি প্রকাশিত করে! কিন্তু এত অল্প সময়ে তা যে নিঃশেষিত হয়ে যাবে সেটা হয়তো অনুমান করতে পারেননি মরমী সদস্যরা। তাই আবারও আজ ৩০০ কপি বই পুনর্মুদ্রণ উন্মোচিত হলো সকলের সংগ্রহের উদ্দেশ্যে। উপলক্ষে শান্তিপুর কলাতীর্থে উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুরের পৌর প্রশাসক অজয় দে, নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু শান্তিপুরের সর্বস্তরের সুধিবৃন্দ। সংস্থার পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ নদীয়ার মধ্যে কর্নিয়া সংগ্রহ এবং প্রদানের সচেতনতার কাজের ভূয়শী প্রশংসা করেন অতিথিবৃন্দ। মরমীর পক্ষ থেকে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি র কাছে শান্তিপুরে অথবা জেলার যেকোনো স্থানে একটি আই ব্যাংক গঠনের দাবি রাখেন। সে ব্যাপারে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাসদেন তিনি। সংস্থার পক্ষ থেকে চক্ষুদান সম্পর্কে কুড়ি মিনিটের একটি সচেতনতামূলক ভিডিও ট্রিপস্ দেখানো হয় সকল আমন্ত্রিতদের উদ্দেশ্যে।