|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক, নতুন গতি, নদীয়া;বাজারদরের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকার ফলে ফাটকা মুনাফা লাভের কারণে প্রয়োজনাতিরিক্ত আলু চাষের প্রবণতা এবছর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন আলু চাষীরা ৪০০ বছরেরও বেশকিছু পূর্বে ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমদিকে স্পেনীয়রা প্রথম লক্ষ্য করার পর ইউরোপীয়ানরা খেয়াল করেন আজকের আলু। পেরুর ইনকা সভ্যতায় চাষের জমিকে আলু বলা হতো। পর্তুগীজ নাবিকদের হাত ধরে ভারতবর্ষের আসে আলু।সেখান থেকেই বাংলায় আলু এসেছে বলে মনে করেন অনেকে। ধান গম ভুট্টা পর পৃথিবীর মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম এই ফসলটি, বর্তমান সমগ্র বিশ্বে প্রতিটি মানুষ বছরে গড়ে৩৩ কেজি ভক্ষণ করে, যার বেশির ভাগ চীন এবং ভারতের উৎপাদন হয়ে থাকে। পুষ্টিগত ভাবে কন্দ শ্বেতসার, প্রোটিন, ভিটামিন ,পটাশিয়াম, ফসফরাস আয়রনের একটি উত্তম উৎস।রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনঃ হার্টের সুস্থতা ক্যান্সারের প্রতিরোধে দাঁত ও পেটের সমস্যা কিডনি স্টোন থেকে মুক্তি পেতে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ অনিদ্রা দূর করতে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিলবিলাতি লাল পাগড়ি দোহাজারী বারি র নানান প্রজাতি থাকলেও চন্দ্রমুখি ও জ্যোতি অধিক ফলনশীল । সিক্ত অথচ ঝরঝরে দোআঁশ মাটিতে ফলন ভালো পেতে সারি বদ্ধ ভাবে এই চাষ করা হয়। একটি সারির থেকে অন্য সারি একহাত দূরত্ব বজায় রেখে, ২/৩ ইঞ্চি গভীরে ৬ থেকে ৪ ইঞ্চি ফাঁকে ফাঁকে লাগানো হয় চোখ বা আলুর বীজ। রাতের তাপমাত্রা১০ থেকে ১৬ ড্রিগ্রি এবং দ্বীনের ১৬ থেকে ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। আগুরি ৭০ থেকে ৮০ দিন এবং নাবি জাতের ১১০ থেকে ১২০ দিন বাদে গাছ শুকিয়ে গেলে একটি চাষ দিলেই মাটির উপরে ভেসে ওঠে আলু। গোড়া পচন, মোজাইক, কান খুশকি, ধ্বসা নানান সংক্রমনের জন্য নানান সার এবং ঔষধ ব্যবহার করতে হয়। কৃষকদের ক্ষেত্রে হিমঘরে র সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থা থাকলেও, তাদের মতে ব্যবসায়ীরা সঞ্চয় করেন ফাটকামুনাফার জন্য। পরের চাষের খরচ তাৎক্ষণিকভাবে পেতে কৃষক বিক্রি করেন জমি থেকেই। কৃষকরা জানান বর্তমানে আড়াইশো টাকা ৫০ কেজির প্রতি বস্তা হিসাবে দাম পাচ্ছেন তারা! অন্যান্য বছর এত কম থাকে না এ সময়! কিছুদিন আগে আকাশছোঁয়া দামের কারণে, অনেক কৃষকেরই আলু চাষ করার প্রবণতাকে দায়ী করছেন তারা।