|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, নতুন গতি, কলকাতা:
নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (এন.এস.ও.ইউ)-এ অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্যের পি. জি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র- ছাত্রীদের মধ্যে।
বেশ কিছু ছাত্ৰ-ছাত্রীদের মতে তাদের প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের সমস্ত পেপারের পরীক্ষা ভালো হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষরা ইচ্ছাকৃতভাবে সাত নম্বর পেপারটা ‘আর.এ’ করে দিয়েছেন,ফলে ছাত্রছাত্রীদের দ্বিতীয় বর্ষের সমস্ত পেপার্স বাতিল হয়ে যায়;আবার কারও কারও ‘এস.এন’ ও ‘এন. এস’ ইত্যাদি দেখাচ্ছে ফলে তারা এ বছর দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে পারবে না।সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সুসমাধান না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।আবারও তাদেরকে অনৈতিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থের আফিমের টানে একটি বছর বিসর্জন দিতে হবে নিঃশব্দে।এই সমস্যার সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি সেন্টার গুলো ও স্বয়ং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সাথে অমানবিক ব্যবহার করছেন।রবিবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের বেশ কিছু জেলার ছাত্রছাত্রীরা৷তাদের মতে অন্যায় ভাবে জোড়পূর্বক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ওপর সমস্ত কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে, কারণ যাদের ‘এস.এন’ হয়েছে তাদেরকে স্টাডি সেন্টার বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আগে কিছুই জানানো হয়নি।কিন্তু স্টুডেনসিপ পেমেন্ট না করার কারণে তাদের এক বছর বিশ্ববিদ্যালয়কে বিসর্জন দিতে হবে।তাদের মতে কোন কোন স্টাডি সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর স্টুডেন্টসিপ পেমেন্ট না করলেও হবে বলেছেন।কিন্তু আজ ‘এস.এন’ হয়ে যাওয়ার পরে তাঁরা তা অস্বীকার করছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীদের একটি বছর দিয়ে।নতুন গতির প্রতিনিধির কাছে ভুক্তভোগী ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছে ,” আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিস্টার অফিসার,সি ও ই, নডাল অফিসার কে চিঠি ও ইমেলে সব কিছু জানিয়েছি কিন্তু কোন প্রতিউত্তর এখনও পাইনি।আমরা চাই ‘স্টুডেন্টশিপ পেমেন্ট’,’এন.এস’,’আর.এ’ ,’এস .এন’ ইত্যাদি সমস্যাদির দ্রুত সমাধান।আমারা সুবিচার না পেলে বৃহৎ আন্দলনে নামব।সুবিচার পেতে আমাদের সাথে Whatsapp গ্রূপে যুক্ত হতে পারেন”।
লিংক https://chat.whatsapp.com/FkjjfFTPXhGKfvLgBghaTF