|
---|
মালদা: মালদহে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত। যা মিলল প্রয়াত বরকত গনি খান চৌধুরির কোতোয়ালির ভিটে থেকেই। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ঢুকতে পারেন মৌসম নুর? সেই সঙ্গে তাঁর সুইজারল্যান্ড ফেরত মামা লেবু ওরফে আবু নাসের খান চৌধুরিও?
মালদহের রাজনীতি তো বটেই, রাজ্য রাজনীতিতেও এমন দাবির বিষয়টি নিয়ে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিন মালদহ জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা মালদহ দক্ষিণের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি (ডালু) দাবি করেন, বাংলার রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রতীক মালদহের কোতোয়ালি ভবন। যেটা বরকত গনি খান চৌধুরির বাড়ি। এখান থেকে যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন তাঁরা আবার কংগ্রেসে ফিরে আসবেন। সেটা নিয়ে পরিবারের মধ্যে আলোচনা চলছে। সাংসদ ডালুবাবু বলেন, “লেবুদা বিদেশে ছিলেন, ফিরে এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পরে মৌসম তৃণমূলে গিয়েছেন। একটা আলোচনা চলছে। মালদহ কংগ্রেসের রাশ আবার কোতোয়ালির হাতে থাকবে। সেই লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি।” ডালুবাবু বলেন, “মৌসম, লেবুদা কংগ্রেসে ফিরবেন। ফের কোতোয়ালি ভবন থেকেই মালদহ জেলায় কংগ্রেস পরিচালিত হবে। এটা আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে।” এদিন কালিয়াচকের জালালপুরে কংগ্রেসের উদ্যোগে নববর্ষ পালন উৎসব অনুষ্ঠিত হয় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি, কালিয়াচকের কংগ্রেস সভাপতি মতিউর রহমান, জালালপুর এলাকার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা খেজামুদ্দিন আহমেদ ও এলাকার নেতাকর্মীরা। এদিন নয়া ইংরেজি বছরের ক্যালেন্ডার উদ্বোধন করেন সাংসদ ডালু। এই দু:সময়ে মালদহ জেলাতেও কংগ্রেসের প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, জেলার প্রত্যেকটি অঞ্চল কমিটিকে নববর্ষের ক্যালেন্ডার তৈরি করে তা বাড়ি বাড়ি বিতরণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একদা মালদহের রাজনীতির রাশ ছিল কোতোয়ালির গনি পরিবারের হাতেই। পরে বরকত গনি খান চৌধুরির মৃত্যুর পর সমীকরণ বদলে যায়। লেবু, শেহনাজ, মৌসমরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। দু’ভাগ হয়ে যায় কোতোয়ালি। একদিকে কংগ্রেসের পতাকা, অন্যদিকে তৃণমূলের পতাকা। বদলে যায় গনির প্রাসাদের রংও। মৌসম নুর তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে ছিলেন। রাজ্যসভার তৃণমূলের সাংসদ তিনি। তাঁর জেলার সভাপতির পদ গিয়েছে। তারপর থেকে মৌসমকে দলের কর্মসূচিতে সেভাবে দেখা যায় না। ইদানিং কোতোয়ালি ভবনের ক্ষমতা অনেকটাই হ্রাস হয়েছে। ডালুবাবু বলেন, “কোতোয়ালি থেকেই মালদহ দখল করবে কংগ্রেস। ফের জেলার রাশ থাকবে কংগ্রেসের হাতে। আলোচনা চলছে। মৌসম-লেবু কংগ্রেসে ফিরবেন। মালদহের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হবে কোতোয়ালি থেকেই।’ যদিও গনির ভাগনি তথা রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর বলেন, “এই বিষয়ে আমার সঙ্গে কারও আলোচনা হয়নি। আমার কিছু জানা নেই।”