কোরআন পাঠের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু

শরিফুল ইসলাম, শান্তিপুর: নিউজিল্যান্ড ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে শ্বেত সন্ত্রাসী তথা জঙ্গিহানার প্রেক্ষিতে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর হিজাব পরিহিতা অবস্থায় ওই ঘটনায় মৃতদের পরিবারগুলির সাথে একাত্ম হয়ে সহানুভূতির দৃশ্য আগেই দেখেছে দুনিয়া।

    এবার, সেই দেশের পার্লামেন্ট এর অধিবেশন শুরু হলো প্রথা ভেঙে কোরআন পাঠের মাধ্যমে রক্তাক্ত হামলায় শহীদদের আত্মার শান্তির প্রার্থনা করার মধ্য দিয়ে।

    উলেখ্য, শুক্রবার, নিউজিল্যান্ড ক্রাইস্টচার্চে পাশাপাশি অবস্থিত দুই মসজিদ আল -নূর- ও লিন উড -এ জুম্মার নামাজ ওয়াক্তে অস্ট্রেলিয়ান যুবক ব্রেন্টন টারেন্ট -এর অতর্কিতে নৃশংস জঙ্গি হানায় কমপক্ষে পঞ্চাশ জন নামাজি গুলিবিদ্ধ হয়ে মসজিদেই শহীদ হন।

    ঘটনায় গোটা বিশ্ব তোলপাড় হয়। দোষীর কঠিন সাজার দাবি ওঠে।
    নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরর্ডান এই হত্যাকাণ্ডের পর পরই মৃতদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দেখা করেন এবং হত্যাকারীর কঠোরতম শাস্তির জন্য সে দেশের অস্ত্র আইনের সংশোধন চেয়ে প্রস্তাব আনেন পার্লামেন্টে।

    এদিন, জেসিন্ডা আরর্ডান প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বলেন, ক্রাইস্টচার্চের ঘটনা নজিরবিহীন অসহিষ্ণুতার উদাহরণ। নিউজিল্যান্ডের কাছে খুবই অপ্রত্যাশিত। নিহত হয়েছেন যাঁরা এবং তাঁদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলি আমাদের অভিবাসী সম্প্রদায়েরই সদস্য। নারকীয় হিংস্র ‘ওই’ ব্যাক্তির এই দেশে কোনো ঠাঁই নেই। এমন ঘটনা যাতে আর না হয়। নিউজিল্যান্ডের পুলিশ সকলের পাশে থাকবে। কেউ যদি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন সরাসরি ১৭৩৭ -এ ফোন করবেন।

    গোটা পৃথিবীতে এক শ্রেণীর সংবাদ মাধ্যম যখন ইসলাম ও মুসলিম ফোবিয়া নিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে প্রচার রত, নিউজিল্যান্ডের এই ঐতিহাসিক মুহুর্ত স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলো জাতি নয় , কোনো একটি সত্তার কাজের স্বরূপই তাঁর ও জাতির পরিচয় বহনকারী, মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিবেক, চেতনা সম্পন্ন মানুষ।