|
---|
শরিফুল ইসলাম, নতুন গতি: এ-চৈত্রেই গত জুম্মার দিন শান্তিপুর বিধান সভার ছটি গ্রাম- পঞ্চায়েতে প্রথম পর্যায়ে প্রচার-কর্মসূচি সেরেই, আজ, দ্বিতীয় পর্যায় শহরে পৌঁছলেন রূপালী।
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সবচেয়ে কনিষ্ঠা প্রার্থী তৃণমূলের রূপালী বিশ্বাস এর প্রচার কর্মসূচি কেন্দ্র করে বুধ বার, শান্তিপুর শহরের পথ-ঘাট সকাল থেকেই চলে যায় দলীয়কর্মী ও সাধারণ মানুষের দখলে। রাস্তার দু’ধারে কাতারে কাতারে উৎসুক মানুষের ঢল নামে।
সেদিন শান্তিপুরের গ্রাম-গঞ্জের মতোই এদিনও তৃণমূলের প্রার্থীকে ঘিরে শান্তিপুর শহরের পথে যেন ভাঙা রাসের শোভা যাত্রা শুরুর আগের মুহূর্তের প্রস্তিত চলছে।
সকাল দশটার মধ্যেই প্রথমে সূত্রাগর মালঞ্চ মাঠে এসে পৌঁছান তৃণমূলের প্রার্থী রূপালী বিশ্বাস। সেখানে অবস্থিত নজরুলের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্য দান করেন রূপালী দেবী।
তারপর, নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু একটি হুড খোলা জিপে তাঁকে পাশে নিয়ে শহর পরিক্রমন করেন।
পিছনে পিছনে পদ যাত্রা নিয়ে আসছিলেন তৃনমুল কংগ্রেসের দলীয় নেতৃত্ব , কর্মী ও অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী। রাস্তার দুধারে অগণিত মানুষ অপেক্ষা করছিলেন প্রার্থীকে দেখার আগ্রহ নিয়ে।
হুড খোলা জিপের উপর থেকে কখনো হাত জোড় করে , কখনোও হাসি মুখে তাঁদের সকলের কাছে শুভেচ্ছা , আশীর্বাদ প্রার্থনা করছিলেন পঁচিশের রূপালী। প্রসস্থ রাস্তার দুপাশে সারি সারি জনতা। ধামসা- মাদল সহ আদিবাসী নৃত্যের একটি স্থানীয় দল ডাকঘর থেকে যুক্ত হয়।
পরিবারের মেয়ের মতোই সত্যজিৎ-জায়া রূপালীকে দেখে আপ্লুত শহরবাসী দুহাত ভরে তাঁকে ভালোবাসা ও আশীর্বাদ দিলেন, বরণ করলেন ফুলে ফুলে।
কেউ সারা জীবন মানুষের সঙ্গে থেকেও আনুগত্য পেলেও আন্তরিকতার অভাবে মন ছুঁতে পারেন না।
আবার কেউ সংসারের অন্তঃপুরে থেকেও বাইরে এসে বৃহত্তর সংসারের অংশ হয়ে যায়।
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের কনিষ্ঠতমা প্রার্থী রূপালী বিশ্বাসকেও ঠিক এভাবেই নিজস্ব পরিবার থেকে বৃহত্তর শান্তিপুরের সঙ্গে মিলে মিশে যেতে দেখা গেল।
আজ মালঞ্চ থেকে থানার মোড়। বিকালে কর্মী সভা। এত বড় শান্তিপুর শহর, পুরোটা কভার করবেন তো, আবার কবে আসবেন প্রার্থী ?
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক তথা শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য জানালেন, ” ইতিমধ্যে সাতটি বিধানসভার সর্বত্র নির্বাচনী প্রচার-কর্মসূচি চলছে প্রার্থীকে কে সামনে রেখে। পাশাপাশি চলছে দলের বুথ স্তরেও।
আগামী ৭-ই এপ্রিল চলবে তৃতীয় পর্যায় প্রার্থী সহ শান্তিপুর বিধানসভার আবার শহরঅঞ্চলে।”
কথিত, হিসাবের কড়ি বাঘেও ছোঁয় না।
কিন্তু রাজনীতির সমীকরণ সব সময় অংকের সূত্রে মেলে না।
তাই একে তো কৃষ্ণগঞ্জের প্রয়াত বিধায়ক সত্যজিৎ খুনের পরও তাঁর ছায়া তৃণমূল বিরোধী শিবিরের সব অঙ্ক গুলিয়ে দিতেই যথেষ্ঠ,এবার ভোটে।
তাঁর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন রানাঘাট কেন্দ্রে তৃণমূলের ছোট- বড় দলের সব যুযুধান পক্ষই।
সর্বোপরি, ‘মমতা-মায়া’ তো আছেই। হাতেও রয়েছে প্রচুর সময়। তত দিনে রূপালীর রাজধানীর টিকিট কনফার্মড, মনে করছেন অধিকাংশই।