মালিককে দেখতে না পেয়ে কুকুরটি হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে মালিকের খোঁজে

নিজস্ব সংবাদদাতা : মালিককে না দেখতে পেয়ে পাগল হয়ে উঠেছিল সারমেয়। হাসপাতালের মধ্যে ঢুকেই মালিকের খোঁজে কামড়ে দিচ্ছিল অন্যান্য রোগীদের। প্রভু ভক্ত সারমেয়র তাণ্ডবে আতঙ্কিত গোঘাট এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার থেকে রোগীরা সবাই। ওই সারমেয়টি বেশ কয়েক জনকে কামড়ায় তাদের মধ্যে ৪জন অনেকটাই বেশি আহত। ঘটনা স্থলে পৌঁছায় আরামবাগের একটি পশুপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। প্রথমে ওই কুকুরটিকে পাগল ভাবলেও পরে দেখা যায় সরমেয়টি নিজের মালিকের খোঁজে রয়েছে। প্রভুকে না দেখতে পেয়ে ক্ষেপে উঠে কামড়ে দিচ্ছে। অবশেষে উদ্ধার করা হল সারমেয়কে।

    গোঘাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র বেশ কিছুদিন ধরে একটি সারমেয় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। প্রথমদিকে কুকুরটি কারোকে কোনও ক্ষতি না করলেও শেষ দু তিন দিন যাবত ওই কুকুরটি হাসপাতালের লোকজনদের কামড়াতে শুরু করে। কুকুরের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর দেয় অ্যানিমেল রেসকিউয়ার একটি দলকে। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি কুকুরটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। তারা মনে করছেন ওই কুকুরটির মালিক একসময় হাসপাতালে ভরতি ছিল । সেই থেকেই ওই কুকুরটি ওখানে রয়েছে। দীর্ঘদিন নিজের মালিককে দেখতে না পেয়ে কুকুরটি ক্ষেপে উঠে এবং কামড়াতে শুরু করে। যদিও হাসপাতালের পক্ষ থেকে কুকুরের মালিক সম্বন্ধে কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।গোঘাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একজন চিকিৎসক জানান, ওই কুকুরটি বেশ কিছুদিন ধরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যেই ঘোরাঘুরি করছিল। প্রথমদিকে কুকুরটি কারোকে না কামড়ালেও পরের দিকে চারজনকে গুরুতরভাবে আহত করে। এর মধ্যে দুজনার পায়ের মাংস খাবলে তুলে নেয় কুকুরটি। আতঙ্কিত হয়ে তারা দ্বারস্থ হন মহকুমা শাসকের কাছে।এই বিষয়ে পশুপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য মঙ্গল সাউ বলেন, এসডিও অফিস থেকে তাদের কাছে ফোন আসে একটি পাগল কুকুর ঢুকে পড়েছে গোঘাট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং সেই কুকুরটি সবাইকে কামড়ে দিচ্ছে তাকে গিয়ে যেন তারা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। খবর পাওয়া মাত্রই মঙ্গল শাওয়ের দলবল পৌঁছায় কুকুরটিকে উদ্ধার করতে। মঙ্গলবাবু জানান, তিনি কুকুরটিকে দেখে বুঝতে পারেন সেটি কোনমতেই পাগল কুকুর নয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে কুকুরটিকে অজ্ঞান করার ইনজেকশন দিয়ে ধরে নিয়ে যেতে।কিন্তু মঙ্গল সাউ বুঝতে পারেন কুকুরটি কারোকে খুঁজছে এবং তাকে দেখতে না পেয়ে সে রেগে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, কুকুরের গলায় একটি বেল্ট পরানো ছিল। যা দেখে বোঝা যাচ্ছিল কুকুরটি কারোর বাড়ির পোষ্য ছিল। তার মালিক কোনও সময় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিল। এবং কুকুরটি ও তার পিছু পিছু সেখানে চলে আসে। দীর্ঘদিন নিজের মালিককে দেখতে না পেয়ে কুকুরটি ক্ষেপে গিয়ে সবাইকে কামড়ে দিচ্ছিল। কুকুরটিকে ওই হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকেরা তাকে নিয়ে আসে অন্যত্র ছেড়ে দেওয়ার জন্য।