|
---|
বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণার পর কেশপুরের তৃণমূল প্রার্থী শিউলি শাহা জোরদার প্রচার শুরু
নতুন গতি, কেশপুর: বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণার পর কেশপুরের তৃণমূল প্রার্থী শিউলি শাহা জোরদার প্রচার শুরু করে দিয়েছেন । এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন। কখনো রোড শো, কখনো মিছিল, কখনো স্ট্রিট কর্নার। বৃহস্পতিবার কেশপুরের এক গেস্ট হাউসে কেশপুরের ইমাম মোয়াজ্জেনদের নিয়ে এক নির্বাচনী আলোচনা করেন। তৃণমূল প্রার্থী
শিউলি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে কেশপুরের পাঠিয়েছেন আপনাদের সেবা করার জন্য। আমি আগে বিধায়ক ছিলাম এখানে পাঁচ বছর । এখানে সমস্ত কাজ সমাপ্ত করতে পারিনি। আমি চাইছি আগামী পাঁচ বছর আমাকে সুযোগ করে দিতো যাতে আমি আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে পারি। তিনি আরো বলেন, যে সংবিধান রচিত হয়েছিল সমস্ত ধর্মের মানুষদেরকে নিয়ে একসাথে চলার কিন্তু দাঙ্গাবাজ সাম্প্রদায়িক শক্তি উঠে-পড়ে লেগেছে ধর্মীয় বিভাজন করতে। তাই আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে জয়ী হওয়ার পর যে সম্প্রদায়ের প্রতি সবার প্রথম নজর রেখেছিলেন তারা হলেন অসহায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। আজ আমি কেশপুরে আপনাদের কাছে শুধু ভোট ভিক্ষা করতে আসিনি, আমি এসেছি সকল মানুষকে নিয়ে একসাথে চলতে। আমি তফসিলি সম্প্রদায়ের মহিলা। আমি সকলকে নিয়ে চলতে চায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কথা ভাবেন। তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ইমাম ভাতা, মোয়াজ্জেম ভাতা করেছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্টাইপেন দিচ্ছেন। সর্বোপরি তিনি আপনাদের পাশে আছেন।
এদিন তিনি বলেন আমি অন্যায় করতে ভালোবাসিনি, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ভালবাসি । আমি অনেক সময় হয়তো রেগে গিয়ে দু-চার কথা বলে দিয়েছি, আমি তার জন্য তার ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি । আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত শক্ত করুন তিনি আপনাদের পাশে আছেন। তিনি বলেন বাংলাকে সম্প্রীতির বন্ধনে বেঁধে রাখতে হবে । সংখ্যালঘু এলাকাকে শিক্ষা-স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে সব দিক থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে সংখ্যালঘুদের সার্বিক উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন। এভাবেই তিনি এদিন ইমাম মোয়াজ্জেন দের কাছ থেকে আশীর্বাদ কুড়ানোর চেষ্টা করেন।
এদিন উপস্থিত ছিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠী, ব্লক সংখ্যালঘু সভাপতি শেখ হাবিবুর রহমান, বিশিষ্ট নেতা চিত্ত গড়াই সহ বিশিষ্টরা।