|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: BJP-তে ভাঙন অব্যাহত। এবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগদান করেছিলেন তিনি। সেই অর্থে তাঁর দলে প্রত্যাবর্তন ঘটল।
এদিন তৃণমূলে যোগদান করে কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘ভোটের আগে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছি।’ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে তোপ দেগে রায়গঞ্জের বিধায়ক বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রূপশ্রী, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পের মধ্য দিয়ে মা-বোনেদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন। রায়গঞ্জে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলেছিল। আমাকে হারানোর জন্য চক্রান্ত করেছিল BJP-র একাংশ। কিন্তু, আমি ভালো কাজ করে গিয়েছি। তারপরেও শো কজ নোটিশ পেয়েছি। দেবশ্রী চৌধুরী কোনও কাজ না করলেও দলে প্রাধান্য পাচ্ছে। আমার BJP-তে যোগদান যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে তা ছয় মাসের ভুল। তাই সেই ভুল বয়ে নিয়ে না গিয়ে শুধরে নিয়েছি।’ এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দুবাবু বলেন, তিনি সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী, আর BJP সনাতন ধর্মের পরিপূরক। এক বছর আগে তিনি বলতেন BJP হাটাও, দেশ বাঁচাও। তার মানে তিনি এক বছরের সনাতন, আর আমি ৪৪ বছরের সনাতন। ওঁর কাছ থেকে আমাকে সনাতন ধর্ম শিখতে হবে।’
উল্লেখ্য, দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাঁকে শো-কজ করেছিল BJP। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘যে দলে দেবশ্রী চৌধুরী রয়েছেন, সেখানে থাকা সম্ভব নয়।BJP মীরজাফরদের দল হয়ে গিয়েছে। এত কাজ করার পরেও দলবিরোধী কাজ করার অভিযোগ তুলে শোকজ করেছে। তাই আমি শোকজের কোনও জবাব না দিয়েই BJP ছাড়লাম।’
এরপরেই তাঁর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা জোরাল হয়। তিনি বলেন, ‘আমার মতে নতুন রাজ্য সভাপতি তেমন পরিণত মস্তিষ্কের নন। তিনি কী ভাবে বঙ্গ BJP-কে সামলাবেন, তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। তাঁর বদলে যদি কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তি এই পদে আসতেন, তাহলে ভালো হত।’ বুধবার শো-কজ প্রসঙ্গে কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘আমার যেই যেই জায়গায় জানানোর ছিল, জানিয়েছিলাম। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি।’ প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর এখনও পর্যন্ত পাঁচজন বিধায়ক BJP ছেড়েছেন।