|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: আনাজের আগুন দামে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকা এমন অনেক আনাজের দাম হাফ সেঞ্চুরি পার করে একশোর দোরগোড়ায়। আলু-পেঁয়াজের দরেও চোখে জল আমজনতার। বাজারে গিয়ে পকেট ফাঁকা হয়ে গেলেও, ভরছে না ব্যাগ।
এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আবার ঝোপ বুঝে কোপ মারতে ওত পেতে বসে রয়েছেন। মঙ্গলবার গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শহরে বিভিন্ন বাজারে হানা দিলেন কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের (ইবি) আধিকারিকরা।
এদিন শহরের কম-বেশি সব বাজারেই আনাজের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। বেহালা, মানিকতলা, লেক মার্কেট থেকে গড়িয়া, ঠাকুরপুকুরে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে। টম্যাটোর রঙ ফ্যাকাশে হলেও, ৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ক্যাপসিকাম ২৫০-৩০০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। জ্যোতি আলু কোথাও ১৭ তো কোথাও ২০। পেঁয়াজ ৫০ টাকা।
কেন দাম বাড়ছে আনাজের?
বিক্রেতাদের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে ডিজেলের দাম বেড়ে চলা এর অন্যতম কারণ। আগে ম্যাটাডোর বা ছোট গাড়ি করে কোলে মার্কেট বা শিয়ালদা থেকে আনাজ আনতে যে খরচ পড়ত, এখন তা তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। তা ছাড়া পুজো পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে পাইকারি বাজারে সবজিরর আকালও রয়েছে। জোগান নেই, অথচ চাহিদা যথেষ্ট। এই জোড়া সবজিতে হাত দিলেই ছেঁকা লাগছে।
এই সুযোগে পাইকারি মজুদদাররা কালোবাজারি করছেন কি না, সে দিকে নজর রয়েছে রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের। এদিন সাতসকালে সরকার বাজার, বেলেঘাটার রাসমণি বাজার গিয়ে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন ইবি-র আধিকারিকরা। তাঁরা বিক্রেতাদের কাছে জানতে চান, সবজি কত টাকায় কিনে, কত টাকায় বিক্রি করছেন।