হিলিতে নিয়ম নিষ্ঠার সাথে আজও পূজা হয়ে আসছে ভৈরবী মাতার

দক্ষিন দিনাজপুর: দীর্ঘ সময় ধরে সম রীতিনীতি মেনে কালি পূজার ঘোর অমাবস্যার রাতে পূজিত হয়ে আসছেন মা ভৈরবী। দুই শতাধিক বছরের প্রাচীন দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বাংলাদেশ অধ্যুষিত হিলির ভৈরবী মাতার পূজাটি সম্পুর্ণ তান্ত্রিক মতে হয়ে আসছে। এই পূজাতে আট ভাজা ও পাঠাবলির রেওয়াজ আজও বর্তমান। দক্ষিন দিনাজপুর জেলার হিলির ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ভৈরব তলার এই পূজাকে ঘিরে চরম উদ্দীপনা এলাকা জুড়ে।

    নির্দিষ্ট সময় বলা না গেলেও, প্রায় দুই শতাধিক বছরের বেশি প্রাচীন   হিলির ভৈরবী পূজাটি। কালি পূজার রাতে তান্ত্রিক মতে হওয়া ভৈরবী পূজায় আবশ্যিক মাছ, পাঠার মাংস, চানাচুর  সহ আট ভাজা। এখানেই পাঠা বলির প্রচলন আছে আজও।   বলির মাংস দিয়েই মাকে নিবেদন করা হয় পূজাতে। শিবের  ভৈরব  নামানুসারেই  স্থানটির নাম ভৈরব তলা। পূজার পরদিন  সকালে এখানে শিবের উপাসনা করা হয়। অতীতে হিন্দু মুসলমান মিলে এই পূজা করত যুমুনা নদীর পাড়ে। কিন্তু দেশ ভাগের পরে মন্দিরটি ভারত এর মধ্য পরেছে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেষা এই পুজাটি করে আসছেন স্থানীয় উদ্যোগতারা। এক সময় এই পুজো করতেন এলাকার এক বিশিষ্ট তান্ত্রিক দূর্গা চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীতে তার ছেলে দুলু চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘবছর ধরে পুজা করেন। দুলু বাবুর মৃত্যুর পর তার শিষ্যরা পুজো করছেন বর্তমানে।  এলাকার মানুষের বিশ্বাস,  বহু অলৌকিক মাহাত্য রয়েছে এই ভৈরবী মাতার। এই পুজোর রীতিনীতি পরিবর্তীত হয়নি সেকারনেই।  এখনও একই নিষ্ঠার সাথে পূজিত হন দেবী। সামিল হন ভারত বাংলাদেশের প্রচুর দর্শনার্থীরা। আর কালি পূজার রাতে এই ভৈরববী পূজাকে ঘীরেই মেতে উঠবেন আবালবৃদ্ধবনিতা।