|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : সবকিছু ছাপিয়ে ওপরে উঠে এল কলা চুরি বিতর্ক। সিপিএমের চোর ধরো জেল ভরো আন্দোলনকে কটাক্ষ করে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ব্যারিকেড ভাঙার নাম করে দোকানপাট লুটপাট লুটপাট করা হচ্ছে, এমনকি কলাও চুরি হচ্ছে। কলা চোরদের পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে জেলে ভরে দিয়েছে। অর্থাৎ তাদের চোর ধরো জেল ভরো আন্দোলন পুলিশ সার্থক করে দিয়েছে।
গত ৩১ অগাস্ট সিপিএমের আইন অমান্য কর্মসূচিতে কলা চুরির অভিযোগ কে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।পাল্টা কটাক্ষ সিপিএমের সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেনের ।তিনি কটাক্ষ করে বলেন, মানুষের কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছে তৃণমূল। প্রত্যেকটি তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক অভিযোগ থাকলে তদন্ত করুক।৩১ অগাস্ট বর্ধমানের কার্জন গেটে সিপিএমের পক্ষ থেকে আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করা হয়। সেই আইন অমান্য কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কার্জনগেট চত্বর। শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-বৃষ্টি এবং পাল্টা পুলিশের কাঁদানে গ্যাস ও জল কামান। এমনকি সিপিএম সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। এতে একদিকে যেমন বেশ কয়েকজন সিপিএম কর্মী সমর্থক জখম হন।পাশাপাশি সিপিএম সমর্থকদের ছোড়া ইটের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও জখম হয়। পাল্টা ভাঙচুরও করা হয়। আর এই ঘটনার মধ্যেই অভিযোগ ওঠে কার্জন গেটের পাশে থাকা দোকান থেকে সিপিএম সমর্থকরা গলা চুরি করে নিয়েছে। তা নিয়ে ওঠে রাজনৈতিক পারদ। আজকে খন্ডঘোষ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলামের নেতৃত্বে তিন কাদি কলা ক্ষতিগ্রস্ত ওই দুই ব্যবসায়ীকে বিক্রির জন্য দেওয়া হয়। সেই দিনের ঘটনায় তাদের কলা লুট হয়ে যাওয়া এবং কলা চুরির ঘটনার পর আজকে তিন কাঁদি কলা সভাপতির তরফে মেলায় খুশি ব্যবসায়ীরা।