|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- গৃহশিক্ষকতা সেরে সবেমাত্র বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সাইকেলেই বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কা সাইকেলের পিছনে। ছিটকে পড়ে যান গৃহশিক্ষক। তাঁর শরীরের ওপর দিয়েই চলে যায় পণ্যবাহী গাড়ি। প্রতিবাদে রাস্তাতেই আড়াই ঘণ্টা দেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন শিক্ষকের ছাত্ররা। চলল পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার মেজিয়ার জামকুড়ি মোড় এলাকায়। মৃতের নাম ভৈরব মহান্ত (৪৫)।পথ দুর্ঘটনায় এক গৃহশিক্ষকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় বাঁকুড়ার মেজিয়া থানার জামকুড়ি মোড় এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তি প্রতিদিনের মতো রবিবার বিকালেও টিউশন পড়াতে গিয়েছিলেন। এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ফিরছিলেন। নগরডাঙা গ্রামের রাস্তা ধরার আগেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ভৈরব রাস্তার একটি ধার দিয়েই যাচ্ছিলেন। সেসময় পিছন থেকে একটি গাড়ি এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে, তাঁর ওপর দিয়েই গাড়িটা চলে যায়। থেঁতলে যায় তাঁর শরীর। স্থানীয়রা দূর থেকে ছুটে আসার আগেই সব শেষ! ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। রাস্তায় দেহ ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পরে পুলিশ গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।পুলিশকে দেহ উদ্ধারে বাধা দেন স্থানীয়রা। পুলিশকে ঘিরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণেরও আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপরই অবরোধ তুলে নেন স্থানীয়রা। এরপর মৃতদেহটি উদ্ধার করে মেজিয়া থানার পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়।ওই শিক্ষকের ছাত্র বললেন, “১২ বছর ধরে আমি স্যারে কাছে পড়ছি। আজই পড়েছি। তারপর শুনি এই ঘটনা। স্যার একাই রোজগেরে পরিবারের। পরিবারটার কী হবে। এই এলাকায় এর আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।”