জন স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল

নিজস্ব সংবাদদাতা : জন স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। বুধবার কলকাতার বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গন থেকে এই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে District Integrated Public Health Laboratory ও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লকের রিমোটের মাধ্যমে ‘ভার্চুয়ালি’ শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু, সুপার সপ্তর্ষী চট্টোপাধ্যায়, পুরসভার চেয়ারম্যান অলকা সেন মজুমদার সহ স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, ‘এবার থেকে সব ধরণের স্বাস্থ্য পরিষেবা এক ছাদের তলাতেই মিলবে, বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। একই সঙ্গে এখানে ল্যাবেরোটরি তৈরির কাজ শেষ হলে ডায়ারিয়া, জণ্ডিসের মতো রোগের পরীক্ষা করা হবে।এখানেই বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা ও পুরুলিয়া জেলা হাসপাতালের পরীক্ষাসমূহও হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এই ইউনিটের শিলান্যাস করলেন। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি এই ইউনিট কাজ শুরু করবে। এতদিন পর্যন্ত উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় আশঙ্কাজনক রোগীদের অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা ছাড়া উপায় ছিল না। এই ইউনিট চালু হয়ে গেলে রোগীদের আর স্থানান্তর করতে হবে না। এখানেই চিকিৎসা পাওয়া যাবে।”উল্লেখ্য, সাধারণ চিকিৎসা প্রদান ছাড়াও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কাজের সুনাম রয়েছে। দেশের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের সকালটা একটু অন্যরকম ভাবে পালন করেছিল বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের সংগঠন। জেলার প্রত্যন্ত জঙ্গল মহলের মানুষের কাছে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে সিমলাপালের কান্দারডিহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও রোগ নির্ণয় শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল।শিবিরে উপস্থিত প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এর প্রশংসা করে জানান, প্রতি তিন মাস অন্তর এই ধরণের শিবির করা গেলে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের উপকার হবে। বছরের বিভিন্ন সময় জেলার নানান প্রান্তে এ ধরণের শিবিরের আয়োজন করে থাকেন এই হাসপাতালের চিকিৎসক ও পড়ুয়ারা। সেই সঙ্গে বাঁকুড়া জেলার বাইরেও নানান চিকিৎসা ও সচেতনতামূলক কাজ করে থাকেন তাঁরা।