|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: রাজস্থানের জয়সলমিরে লঙ্গেওয়ালায় সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের মধ্যে দীপাবলি উদ্যাপন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের বিরুদ্ধে শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব পোষণকারী চিন এবং পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। ভারত-চিন সীমান্তের লাদাখে চিনা বাহিনীর অনুপ্রবেশ নিয়ে গত সাত মাস ধরে সংঘাত ও অচলাবস্থার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, গোটা বিশ্ব জানে যে ভারত তার স্বার্থ নিয়ে কোনওভাবেই আপস করবে না।
প্রধানমন্ত্রী পরোক্ষভাবে চিনের তীব্র সমালোচনা বলেন, আজ বিশ্ব আজ সম্প্রসারণবাদী শক্তির দ্বারা সমস্যায় পড়েছে। সম্প্রসারণবাদ একটি মানসিক সমস্যা এবং এতে ১৮ শতকের চিন্তাভাবনা প্রতিফলিত হয়। ভারত এ জাতীয় মানসিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে। এর আগে লেহলাদাখ সফরের সময়েও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিনের সম্প্রসারণবাদী নীতিমালার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি এমন সময়ে এই বিবৃতি দিয়েছেন যখন লাদাখে দু’দেশের সেনাবাহিনী পিছু হটার জন্য চুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। যদিও সরকার বা সেনাবাহিনী এ বিষয়ে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, লাদাখ ইস্যুটি সরাসরি উল্লেখ না করে চিনের সম্প্রসারণবাদী নীতিতে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে দক্ষিণ চিন সাগর, জাপানের সঙ্গে পূর্ব চিন সমুদ্রের মতো বিবাদের বিষয়েও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর বক্তব্যকেও সমর্থন করেছেন। ভারত মহাসাগরেও চিনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা প্রসঙ্গে ভারত ইতিমধ্যে ভারত, আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান সমন্বিত চতুর্দেশীয় অক্ষ কোয়াডে বড় অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে তার কৌশলগত অবস্থান জোরালো করতে ব্যস্ত।পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণের ফলে সেনা জওয়ান ও নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের শহিদ হওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রতিবেশী দেশকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আজ বলেন, আজ ভারত সন্ত্রাসী এবং তাদের প্রভুদের বাড়িতে ঢুকে হত্যা করে। সকলেই ভালো করেই জানেন যে ভারত তার স্বার্থ নিয়ে কোনওভাবেই পিছিয়ে আসবে না। সেনাদের বীরত্ব ও সাহসিকতার কারণে ভারত এই প্রতিষ্ঠা ও মর্যাদা অর্জন করেছে। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য, ভারত সীমান্তে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীদের লঞ্চিং প্যাডকে কেবল ধ্বংস করে দেয়নি,বরং প্রতিবেশী দেশটির সেনাদেরও হত্যা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি সীমান্ত অঞ্চলে সড়কসেতু নির্মাণে ভারতের দ্রুত কার্যক্রম সম্পর্কে চিনের আপত্তিও প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, ভারত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবকাঠামোকে অব্যাহতভাবে জোরদার করছে যা নাগরিকদের পাশাপাশি সেনাদের জন্যও সুবিধাজনক। ভারত তার প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষমতাও বৃদ্ধি করছে যাতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী হওয়া যায় বলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্তব্য করেন।