রোহিঙ্গা নির্যাতনকারি “সুকি পুনরায় মায়ানমানর নির্বাচনে জয় লাভ করলেন

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: মায়ানমারে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরল আউং সান সুকি-র দল এনএলডি। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে মোট ৪২৫ আসনের মধ্যে সুকির দল পেয়েছে ৩৪৬টা। সরকার গড়তে প্রয়োজন ৩২২ আসন। প্রায় সাড়ে ৫ দশক সামরিক জান্তা সরকার ছিল দেশটিতে। ২০১৫ সালে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সুকি জয়ী হন। সেবার তাঁকে মানুষ একচেটিয়া ভোট দিয়েছিল। রোহিঙ্গা মুসলিমরাও খুব আশা করেছিলেন ১৯৯২ সালে সামরিক সরকার তাদের যে নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছিল, সুকি ক্ষমতায় এলে তা তারা ফিরে পাবেন। কিন্তু ফল হয় সম্পূর্ণ উলটো। সামরিক সরকারের আমলের থেকেও চূড়ান্ত পরিণতি হয় সুকি সরকারের গত ৫ বছরের শাসনে। শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার অপরাধে প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে দেশছাড়া করা হয়। তার আগে সন্ত্রাস নির্মূলের নাম করে রোহিঙ্গাদের ওপর লাগাতার কয়েকমাস ধরে গণধর্ষণ ও গণহত্যা চালায় সুকি সরকারের সেনাবাহিনী। বিশ্বজুড়ে যার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও খোদ শান্তিতে নোবেলজয়ী সুকি তাঁর দেশের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করে বিবৃতি দিতে থাকেন এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জাতিগতভাবে নিকেশ অভিযানের পৃষ্ঠপোষকতা করেন।

     

    এবার নির্বাচনের আগে কয়েকডজন মুসলিম প্রার্থীর মনোয়ন বাতিল করা হয়। সব তথ্য ও নথিপত্র জমা দিলেও নানান অজুহাতে তাঁদেরকে প্রার্থী হতে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়াও রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য মুসলিম সহ বিভিন্ন উপজাতি,আদিবাসী ও জনগোষ্ঠীর ৩০ লক্ষ নাগরিকের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। যার মধ্যে শুধুমাত্র মুসলিম প্রায় ২০ লক্ষ। এভাবেই প্রহসনের নির্বাচন চালিয়ে সংসদে বিপুল জয় হাসিল করল সুকি ও তাঁর দল।