মহালয়া উপলক্ষে রায়চক গঙ্গার ঘাটে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আগত পূর্নাথিদের জন্য জলছত্তর ব্যবস্থা

বাইজিদ মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া পালিত হয়েছে। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস, রোববার থেকেই শুরু দেবীপক্ষের আগমন। শ্রী শ্রী চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই ‘চন্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি। শারদীয় দুর্গাপূজার গুরুত্বপর্ণ একটি অনুষঙ্গ হলো এই মহালয়া। দুর্গাপূজার এই সূচনার দিনটি সারা রাজ্যে বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপিত হয়েছে। পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার ২নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে রোববার ভোর থেকে হুগলি নদীর পাড়ে রায়চকে মহালয়ার বিশেষ সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও আগত পূর্নথিরদের জন্য জলছত্তর এর ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করছেন। উপস্তিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক পান্নালাল হালদার,ব্লক২ সভাপতি অরূময় গায়েন, সরিষা অঞ্চলের অবজারভার তথা যুব নেতা শামীম আহমেদ মোল্লা,ব্লক২ যুব সভাপতি মাহবুবার রহমান গায়েন,শমীক সংগঠনের সভাপতি হাসিবুল ইসলাম, বিমলেন্দু,অরিন্দম ঘোষ সহ পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে আরো অন্যান্য বিশিষ্ঠ ব্যাক্তিরা। দেবী দুর্গার আগমনী উপলক্ষে দিনটি উদ্যাপন করতে গঙ্গার ঘাটে ভোর থেকে ভির জমায়।
পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এ দিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই প্রতীক্ষা মায়ের পুজার। আর এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়।আগামী ১ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত আজ রোববার থেকেই পূজার্থীরা দুর্গাপূজার আগমনধ্বনি শুনা যাচ্ছে।

    এই মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপূরূষের স্মরন করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেছেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে, এই দিনে প্রয়াতদের আত্মা মর্ত্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রয়াতদের আত্মার এই সমাবেশকে মহালয়া বলা হয়। মহালয় থেকে মহালয়া। পিতৃপক্ষেরও শেষদিন এটি।