পকসো আইনে কুড়ি বছরের সাজাপ্রাপ্ত রায়দীঘির প্রভাত

বাবলু হাসান লস্কর, কুলতলি : দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা পকসো আইনে বারুইপুর মহকুমা আদালতের, বারুইপুর অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজ সীমিত সময়ের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া সমাপ্তির পর অপরাধীকে কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করলো রায়দিঘির প্রভাত পুরকাইতের ২০১৮ সালের ২৯ শে মে কুলতলী থানায় নিগৃহিতার পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কুলতলি থানায় পুলিশ। এএসআই গোপাল চন্দ্র সাহা প্রথম তদন্তভার গ্রহণ করেন পরে এসআই শুভময় দাসের উপরে দায়িত্বভার দেওয়ার পর তিনি দায়িত্ব সহকারে পালনের মাধ্যমে নজির গড়লেন। রায়দীঘির প্রভাত পুরকাইত এক নাবালিকাকে ভালোবাসার অভিনয়ের মাধ্যমে প্রেমের জালে নাবালিকা কে নিয়ে উধাও হয়।অবশেষে নাবালিকা কে খুঁজে পাওয়া গেলেও অভিযুক্ত অধরা থেকে যায়। পুলিশ নাবালিকাকে নরেন্দ্রপুর সংলাপ স্নেহা হোমে পাঠায়-অবশেষে নাবালিকা হোম থেকে ছাড়া পাওয়ায় পরিবারের অমতে অভিযুক্ত তাকে বিয়ে করে। সকলের অগোচরে অজানা আস্তানায় বসবাস করতে থাকে বেশ কিছু দিন পর তাদের এক সন্তান জন্ম নেয়। কুলতলি থানার পুলিশ আসামি কে ধরার পরিকল্পনা করতে থাকে।বেশ কিছুদিন ধরে খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান মেলে রায়দিঘিতে। কুলতলী থানার এসআই শুভময় দাসের নেতৃত্বে রায়দিঘী থানা পুলিশের সহযোগিতায় ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে রায়দিঘি এলাকা থেকে অভিযুক্ত প্রভাত পুরকাইত কে গ্রেফতার করে এসআই শুভময় দাস তদন্তভার গ্রহণ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বারুইপুর আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলার পর বারুইপুর অতিরিক্ত জেলা জজ সন্দীপ মান্না অভিযুক্তকে কুড়ি বছরের সাজা ও ১৭ হাজার টাকা জরিমানা সহ অনাদায়ে আরো ছয় মাস সাজা হতে পারে। নাবালিকা কে বিয়ে করার পরে- সন্তান হওয়ার পরেও আইনের চোখে ছাড় পাওয়া যায় না তা আদালতে প্রমাণ ।