হাতির আক্রমণে এক গ্রামবাসীর মৃত্যু, বনকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ ও জাতীয় সড়ক অবরোধ

জলপাইগুড়ি: হাতির আক্রমণে এক গ্রামবাসীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। বনকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি চলল জাতীয় সড়ক অবরোধ। জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের আপার কলাবাড়ির ঘটনা। জানা গিয়েছে শনিবার সকাল দশটা নাগাদ আপার কলাবাড়ির বাসিন্দা রাম বাহাদুর মেজর (৫৬) গ্রাম সংলগ্ন ডায়না চাবাগান এবং লক্ষীপাড়া চা বাগান এর মাঝামাঝি এলাকায় গবাদি পশুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। সেইসময় সেখানে আচমকাই একটি বুনো দাতাল চলে আসে। চেস্টা করে পালাতে পারেননি তিনি। হাতির সামনে পডে যান। হাতি তাকে শুড়ে তুলে আছাড় মারে এবং পায়ে পিস্ট করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। তার মরণ আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন গ্রামের বাসিন্দারা। খবর পেয়ে দুপুর নাগাদ আসে বনদফতরের বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের বনকর্মীরা। তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বাসিন্দারা৷ পরে বিন্নাগুড়ি গয়েরকাটা গামী ৩১নং জাতীয় সড়কে পথ অবরোধ শুরু করে তারা।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, যে জায়গায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছি তা জঙ্গলের অংশ নয়। চা বাগানের তরফে গাছ লাগিয়ে এবং আগাছা পরিস্কার না করায় ওই জায়গায় জঙ্গলের মত তৈরী হয়েছে। প্রায়ই এখানে হতির আগমন হয়। পাশেই গ্রামে আসা যাওয়ার রাস্তা। তাই মাঝে মধ্যে হাতির আক্রমণের মুখে পড়তে হয় গ্রামের বাসিন্দাদের।বনকর্মীরাও ঠিকমতো টহল দেন না বলে অভিযোগ। ঘরবাড়ি বা অন্য কোনো ক্ষতি হলে খুব সামান্যই ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, দুই চা বাগানের তরফেই ওই জঙ্গল পরিস্কার রাখার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে হাতির যাওয়া আসা বন্ধ হয়। যদিও পরে বানারহাট থানার পুলিশ এবং বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। অবরোধ বিক্ষোভ উঠে যায়।দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।