আমার করোনা আক্রান্ত নিয়ে বিরোধীরা আনন্দ উপভোগ করেছে, নির্বাচন সভায় মন্তব্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : করোনা সংক্রমণে বিশ্বে শীর্ষে পৌঁছেছে আমেরিকা। অর্থনীতি পড়েছে মন্দার কবলে। বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে দেশ। এই অবস্থায় দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি জর্জিয়া প্রদেশের ম্যাকন শহরে নির্বাচনী জনসভা করেন। প্রায় দু’ঘণ্টা ভাষণ দেন তিনি। অতিমহামারী থেকে বাণিজ্য, সব বিষয় নিয়েই তিনি মন্তব্য করেন। তবে তাঁর ভাষণের বড় অংশ জুড়ে ছিল ব্যক্তিগত ক্ষোভের কথা।

     

    ট্রাম্পের দাবি, তাঁর করোনা সংক্রমণ হয়েছে শুনে খুশি হয়েছিলেন বিরোধীরা। একটি মিডিয়া গোষ্ঠী ও প্রযুক্তি সংস্থা ক্রমাগত তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টায় আছে। এরপরেই তিনি বলেন, যদি ভোটে হেরে যাই, তাহলে হয়তো আমাকে দেশ ছেড়ে যেতে হবে। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি যদি ভোটে হেরে যাই, কী হতে পারে বলে আপনারা মনে করেন? আমার মনে হয়, সেক্ষেত্রে আমি হয়তো দেশে থাকতে পারব না।”

     

    নির্বাচনী তহবিলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বিডেনের তুলনায় ট্রাম্প অনেক কম অর্থ সংগ্রহ করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, “আমি বিশ্বের গ্রেটেস্ট ফান্ড রেইজার। কিন্তু ইচ্ছা করে নির্বাচনী তহবিলে বেশি অর্থ সংগ্রহ করিনি।” একটি সূত্রে জানা যায়, বিডেন তুলেছেন ৩৮ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার। ট্রাম্প তুলেছেন ২৪ কোটি ৭০ লক্ষ ডলার।

     

    এর আগে ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, তিনি যদি না জেতেন, তাহলে ধরে নেবেন ভোটে জালিয়াতি হয়েছে