সাংগঠনিকভাবে তিন বিধানসভা এলাকা দেখভালের দায়িত্ব এল তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতির কাছে

নিজস্ব সংবাদদাতা : সাংগঠনিকভাবে তিন বিধানসভা এলাকা দেখভালের দায়িত্ব এল তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতির কাছে। আউশগ্রাম মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম- এই তিন বিধানসভা এলাকা পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে হলেও এতদিন তা দেখভাল করতেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই তিন বিধানসভা এলাকা বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে, এই যুক্তিতেই এতদিন তা অনুব্রত মণ্ডল দেখভাল করতেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই তিন বিধানসভায় এলাকা দেখভালের দায়িত্ব পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কে দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে।

    বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার নেতাদের নিয়ে কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে বৈঠক করে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব। সেই বৈঠকে ব্লক স্তরে সাংগঠনিক রদবদল-সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই এই তিন বিধানসভা এলাকা তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এখন থেকে দেখভাল করবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। সে ব্যাপারে ওই তিন এলাকার বিধায়কদের মতামত জানতে চাওয়া হয়। প্রয়োজনে বিধায়করা দুই জেলার নেতৃত্বের বৈঠকেই থাকতে পারবেন বলে মত দেন তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব ।

     

    ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে দলের তরফে এই তিন বিধানসভা এলাকায় নজর রাখতেন অনুব্রত মণ্ডল। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটের পর পাকাপাকি ভাবে তিনি এই তিন বিধানসভা এলাকার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পান। তখন থেকেই আর পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে এই তিন বিধানসভা এলাকায় বিশেষ দেখা যায়নি। এই তিন বিধানসভা এলাকায় যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডলই ছিলেন শেষ কথা। গরু পাচার মামলায় সেই অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর এই তিন বিধানসভা এলাকা ফের পূর্ব বর্ধমান জেলা নেতৃত্বের হাতে ফিরে আসতে চলেছে- এমন জল্পনা শুরু হয়েছিল। তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব দলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতিকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে সেই জল্পনাতেই শিলমোহর দিল। তবে এ ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, দলের লিখিত নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না।