পাঁচ বছরে কর্মাধক্ষ্যা ফরিদাকে ছুঁতে পারেনি দুর্নীতি

নতুন গতি: আজিজুর রহমান, গলসি : গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জিতে গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রানী সম্পদে দায়িত্ব পান কর্মাধক্ষ্যা ফরিদা ইয়াসমিন। তার পর থেকে দায়িত্বে অবিচল থেকেছেন। পাঁচ বছরেও ছোট বড় কোন দুর্নীতি তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। পাইয়ে দেওয়া তো দুরে, নিজের আত্মীয়দের বঞ্চিত করেছেন সর্বক্ষেত্রে। এমন জন প্রতিনিধিকে যে দলের সম্পদ তা বলাই যায়। নিজের গাঁটের টাকাও খরচ করেন মানু‌ষের কাজে। তবে আর পাঁচটা মানু‌ষের মত তিনি দানের প্রচারের বিরুদ্ধে। ফরিদার দাবী, আমি দান করি সেটা কাউকে দেখাতে বা বোঝাতে চাইনা। জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতির ১৩ নং আসনে ভোটে দাঁড়ান। যেটি গলসি ১ নং ব্লকের পারাজ অঞ্চলে অবস্থিত। সেখানে জয়লাভ করলে তাকে গলসি ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রানী সম্পদের কর্মাধক্ষ্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিকে বুদবুদে তার বাড়ির আসে পাশের বহু মানুষ তার প্রশংসা করেন। প্রতিবেশী সেখ নয়ন বলেন, তিনি নিজেও যেমন অন্যায় থেকে দুরে থাকতে চান। তেমনি কেউ অন্যায় করলে তিনি ছেড়ে কথা বলেন না। তিনি বলেন, ফরিদার স্বামী কাজী আলাউদ্দিন সেনবাহিনীতে চাকরি করতেন। সেই কাজ শেষে রেলে চাকরি পেয়েছিলেন। তিনিও খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তারা সকলেই তাকে ফৌজী বলে ডাকতেন। এলাকাবাসী সেখ খোকন জানিয়েছেন, কর্মাধক্ষ্যা হবার পর তার দায়িত্ব বাড়ায় তিনি সবাইকে সাথে নিয়ে চলেছেন। কোন কিছুতে স্বজন পোষণ করেন না। তার কথায় সমিতির মৎস ও প্রাণী সম্পদের দায়িত্ব হবার পর কর্মাধক্ষ্যা ফরিদাকে ছুঁতে পারেনি কোন দুর্নীতি। ফরিদা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, কিছুদিন পূর্বে তার স্বামী মারা যান। বর্তমানে ছেলে সেই চাকরি করে। নিজে যা পেনসেন পান তা দিয়ে খরচ চালিয়ে নেন। তিনি বলেন, সকালে বাড়ির কাজ সেরে ১১ টায় অফিসে যান। সেখান থেকে বৈকালে ফিরে এলাকার মহিলাদের নিয়ে সংগঠন করেন। জানা গেছে, পাড়ার মানুষের বিপদ আপদে ফরিদা ইয়াসমিন সব সবসময় পাশে থাকেন। নিজে প্রচুর দানধ্যানও করেন। তবে নিজের ব্যাক্তিগত দানের ধ্যানের ছবি তিনি তোলেন না। তাছাড়াও সেই ছবি স্যোশাল মিডায়ায় ব্যবহারে তিনি ঘোর বিরোধী।