তীব্র দাবদাহে তৃষ্ণার জ্বালা মেটাচ্ছে তালের রস

নিজস্ব প্রতিবেদক:- তীব্র দাবদাহে তৃষ্ণার জ্বালা মেটাচ্ছে তালের রস। শীতের খেজুরের রসের পালটা গরমে তালের রসের (Palm Juice) রমরমা। West Medinipur- এর চন্দ্রকোনার একাধিক গ্রামে এখন “তালের রস”এর চাহিদা তুঙ্গে। গরম পড়তেই তালের রস খাওয়ার জন্য উপচে পড়া ভিড় তালতলায় । West Medinipur জেলার চন্দ্রকোনার বিভিন্ন এলাকায় অলিগলিতে কান পাতলে এখন শুধু একটাই কথা “প্রচন্ড রৌদ গরমে গা জ্বলে যাচ্ছে, একটু তাল রস খেয়ে আসি চল!” তালের রস খাওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে চন্দ্রকোনার গ্রামগুলিতে।বছরে একটা সময় পাওয়া যায় এই তাল রস। শীতের খেজুর রসের মতোই গরমে তীব্র দাবদাহ থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে এখন তালতলায় ভিড় জমিয়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যুবক থেকে বয়স্করা। তালের রস সংগ্রহ করতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকেও আসছে অনেক লোক। মাঠের মধ্যে তাঁবু খাটিয়ে তাল রস সংগ্রহ করে চলছে বিকিকিনি।গরমের তীব্রতায় জীবন অতিষ্ঠ। এই গরমে পথেঘাটে চলাফেরা করা প্রায় দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচণ্ড গরম থেকে শরীরে তৈরী হয় জলশূন্যতা। জলের অভাব পূরণ করতে এবং শরীর সতেজ রাখতে মানুষ বিভিন্নরকম পানীয় পান করেন। ডাবের জল, আখের রস এগুলো এমনিতেই জনপ্রিয়। এগুলি ছাড়াও গ্রামাঞ্চলের আরও একটি জনপ্রিয় পানীয় হল তালের রস। যদিও বর্তমানে এই প্রাকৃতিক পানীয় খুবই অপ্রতুল। কিন্তু গ্রামেগঞ্জে এখনও তালের রসের দেখা মেলে।যেসব গাছে তাল ধরে না সে গাছগুলোতে হয় লম্বা লম্বা জট। সেই গাছগুলোকে বলা হয় ‘জটা তালগাছ’। এই ধরনের গাছ থেকেই মূলত রস সংগ্রহ করা হয়। তবে যেসব গাছে তাল ধরে সেসব গাছ থেকেও রস সংগ্রহ করা যায়। জটা গাছের জটের একদম নিচের দিকে একটু অংশ কাটা হয় যেন সেখান থেকে রস বের হতে পারে। আবার যেসব গাছে তালের মোচা বের হয় সেই গাছগুলোর মোচার একদম নিচের অংশ কাটা হয়। এরপর হাঁড়ি বা ভাঁড় বসিয়ে তালগাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।তালের ভেষজ গুণাগুণও নেহাত কম নয়। খনিজ এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ তাল থেকে ভিটামিন বি এবং সি, আয়রন, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, থায়ামিন এবং রিবোফ্লাভিন পাওয়া যায়।