পাপিয়া কর ফেলে দেওয়া বস্তু দিয়ে দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে চলেছেন এবারের বানানো থিম শিক্ষা

নিজস্ব সংবাদদাতা : যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে এই প্রবাদ বাক্যটির জ্বলন্ত উদাহরণ নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বাসিন্দা পাপিয়া কর। বিভিন্ন রকম সমাজ সেবা মূলক কাজকর্মের জন্য একাধিকবার খবরের শিরোনামে থেকেছেন তিনি। সমাজসেবামূলক কাজ ছাড়াও হাতের কাজেও তিনি সমান পারদর্শী। গত ১১ বছর ধরে নিজের হাতে ফেলে দেওয়া বস্তু দিয়ে দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে চলেছেন তিনি। তার বানানো প্রতিমার মধ্যে প্রত্যেকবারই তিনি একটি বার্তা পৌঁছে দেন সমাজের মানুষের কাছে। এবারেও তার ব্যতিক্রম নয়। পাপিয়া করের এবারের বানানো দুর্গা প্রতিমার থিম শিক্ষা।
তিনি জানান আমাদের সকলের প্রথম শিক্ষক আমাদের মা। দুর্গা ঠাকুরকেও আমরা সকলেই মা বলে সম্মোধন করি। সেই কারণেই তিনি দুর্গা ঠাকুরের হাতে অস্ত্র না দিয়ে তুলে দিলেন শিক্ষার সমস্ত সামগ্রী। শিক্ষার কোনও বিকল্প হয় না সেই কারণেই এই ঠাকুরটি বানাতে কোনও রকম মাটি, বাঁশ, বিচুলী ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ প্রতিমাটি বানাতে তিনি ব্যবহার করেছেন কাগজ, রাবার, বাতিল পেন, পেন্সিল, চক, স্লেট বাতিল খাতা ইত্যাদি। একটু একটু করে জিনিসপত্র জোগাড় করে সম্পূর্ণ প্রতিমাটি তার তৈরি করতে সময় লেগেছে ১০ মাস বলে জানালেন তিনি।তার স্বামী ও ছেলের সহযোগিতায় একটু একটু করে জিনিসপত্র জোগাড় করে বানিয়েছেন এই দুর্গা প্রতিমা। প্রায় ১৬ হাজার টাকার শিক্ষার সামগ্রী কিনতে হয়েছে প্রতিমাটি বানাতে বলেন তিনি। ছয় ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট তার প্রতিমার ওজনও ছয় কেজি। এই দুর্গা মূর্তি তৈরির উদ্দেশ্য প্রতিবারের মতো এবারেও এই দুর্গামূর্তি বিক্রি করে যে টাকাটা তিনি পাবেন সেই টাকা দিয়ে রাস্তায় অথবা ফুটপাতে থাকা ২০০ জন মানুষকে পুজোয় নতুন জামা কাপড় কিনে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন পাপিয়া দেবী। তার এই দুর্গা প্রতিমা দেখতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন এলাকাবাসীরা।