শিক্ষক অভাবে বন্ধ এবং ধুঁকতে থাকা বিদ্যালয়গুলিতে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অভিভাবকদের বিক্ষোভ, রামপুরহাট এলাকায়

সেখ রিয়াজুদ্দিন ,নতুন গতি, বীরভূম:- শিক্ষার মানোন্নয়ন দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে।বিদ্যালয় তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বেসরকারি করনের পথে ঠেলে দেওয়ার অভিসন্ধি চলছে বলে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন শাসক বিরোধী অন্যান্য দলগুলো।এবার কোনো রাজনৈতিক ব্যানারে নয় স্কুল বাঁচাও কমিটির ব্যানারে পথে নেমেছে পড়ুয়াদের অভিভাবক সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।ঘটনাটি রামপুরহাট থানার মাসড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পাঁচটি বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের অভিভাবক সহ স্থানীয় বাসিন্দারা শনিবার মাইক, ব্যানার সহকারে দাবি দাওয়া সম্পর্কিত শ্লোগান দিতে দিতে পদযাত্রা করে প্রধান শিক্ষকের নিকট দাবি গুলি তুলে ধরেন।

    বিবরণে জানা যায় রামপুরহাট থানার মাসড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পাঁচটি বিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক অভাবে তিনটি বিদ্যালয় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। তাই এই দুটি নিয়ে অভিভাবকের আশংকা যে কোনো সময় শিক্ষক অভাবে তালা ঝুলিয়ে দিতে পারে সরকার। সেই আশংকায় আশঙ্কিত হয়ে শিক্ষক নিয়োগ, পঠন পাঠন শুরু, উৎস শ্রী প্রকল্প বাতিল সহ অন্যান্য দাবি নিয়ে অভিভাবকের দল স্কুল চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং শালবাদরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম কুমার মন্ডলের কাছে সাক্ষাৎ করেন উক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে। দাবিগুলোর মধ্যে ছিল প্রত্যেকটা গ্রামের শিক্ষক শূন্য তালা বন্ধ স্কুল গুলিকে অবিলম্বে চালু করা, রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ করা, উৎস শ্রী নামক শিক্ষক বদলির ভ্রান্ত নিয়ম নীতি প্রত্যাহার, শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে গ্রামীন স্কুল গুলোর গঠন পাঠনের মান উন্নয়নের ব্যবস্থা, গ্রামীন দরিদ্র খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মেহনতি মজদূর ঘরের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার স্বার্থে গ্রামীন স্কুল শিক্ষক-শূন্য করা চলবে না। অভিযোগকারীদের মধ্যে ছিলেন তাহির আনসারী, মুরাদুল মুস্তাকিম সহ অন্যান্য অভিভাবক বৃন্দ।