ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে চলে শারীরিক অত্যাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক:- মহিলার স্নানের ছবি গোপনে ক্যামেরাবন্দি করে যুবক। সেখানেই শেষ নয়, এরপর সেই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে চলে শারীরিক অত্যাচার, এমনই অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে দিঘা এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে।ধৃত যুবক ভয় দেখিয়ে অভিযোগকারিনী মহিলাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। শেষমেষ গৃহবধূ দিঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে তার মোবাইলটি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থানার পায়াগ্রামে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল। কাঁথি আদালতে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আজ তোলা হয়েছে তাকে।জানা গিয়েছে, মহিলার অভিযোগ, দিনের পর দিন ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্বামীর অনুপস্থিতিতে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে চলছিল অভিযুক্ত যুবক৷ লোকলজ্জার ভয়ে আড়াই বছর ধরে এই অত্যাচার সহ্য করে গিয়েছেন ওই গৃহবধূ। ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে পারেননি মুখ ফুটে। অবশেষে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে৷ এরপরেই তিনি সব কথা বলে দেন তাঁর স্বামীকে৷ এরপরেই তাঁরা দ্বারস্থ হন থানার৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে।রবিবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন খারিজ করে দিয়েছেন। আর পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেন কাঁথি আদালতের বিচারক।নগ্ন স্নানের দৃশ্য যুবকের মোবাইলে এল কী করে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, দিঘা পায়া গ্রামের যুবক বিশ্বজিৎ মণ্ডলের যাতায়াত ছিল এই বাড়িতে৷ সেই সুযোগে একদিন যুবক ওই বাড়িতে সকলের অলক্ষ্যে ঢুকে দেখেন বাথরুমের দরজা খোলা। স্নান করছেন গৃহবধূ। বাড়ির সদর দরজা বন্ধ থাকলেও তা ভিতর থেকে ছিটকিনি দেওয়া ছিল না। তাই ঢুকে পড়ে ওই যুবক। তারপর মোবাইলে গৃহবধূর নগ্ন স্নানের দৃশ্য ভিডিয়ো করে অভিযুক্ত। এরপর সেটা দেখিয়েই চলে যৌন অত্যাচার।